শাহরুখ খান সম্প্রতি কথা বলেছেন কীভাবে গৌরী খান কীভাবে পরিবারের জন্যই প্রথমে ইন্টিরিয়ার ডিজাইনিংয়ের কাজ শুরু করেছিলেন আর্থিক সংকটে পড়ে। সেই সময়ের কথা বলেন যখন দম্পতি তাদের প্রথম বাড়ি কেনেন মুম্বাইতে আরিয়ানের জন্মের আগে, যা তাদের বাংলো মন্নত কেনার আগে। বাড়িটা তাদের বাজেটের বাইরে ছিল। তাই ঘর সাজানোর জিনিস আলাদা করে কেনার মতো অবস্থাও ছিল না। সেই সময় গৌরী নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন ডিজাইনিংয়ের দায়িত্ব।
গৌরী খান সম্প্রতি তার কফি টেবিল বুক ‘মাই লাইফ ইন ডিজাইন’ লঞ্চ করেছেন। শাহরুখ বইয়ের মুখবন্ধ বিভাগে লিখেছেন। যা টুইটারে শেয়ার করে নিয়েছে এক অনুরাগী। শাহরুখ মুখবন্ধ সেই সময়ের কথা স্মরণ করেছেন যখন তিনি সোফা কিনতে গিয়ে দেখেন দাম খুব বেশি। তখনই গৌরীর মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়। নিজে কাঁচামাল কিনে স্কেচ তৈরি করে কাঠের মিস্ত্রিদের দিয়ে তৈরি করিয়েছিলেন।
শাহরুখ লিখেছেন, ‘এটা তখন শুরু হয়েছিল যখন আমরা মুম্বাইয়ে আমাদের প্রথম বাড়ি কিনেছিলাম। বলাই বাহুল্য সেটা আমাদের সাধ্যের বাইরে ছিল। কিন্তু আমাদের থাকার জায়গারও দরকার ছিল, কারণ আরিয়ান আসছে। সুতরাং ঠিক করা হয়েছিল যখন হাতে টাকা আসবে, তকন আমরা ঘরের জিনিস কিনব। আমরা কোনও ডিজাইনারকে এই দায়িত্ব দিতে পারিনি। গৌরীই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল।’
তিরি জানান, আমরা এরপর একদিন সোফা কিনতে যাই। কিন্তু দেখি তা আমাদের বাজেটের বাইরে। আমরা এরপর ঘুরতে গিয়ে শুধু চামড়া কিনে আনি। তারপর গৌরী ওর নোটবুকে নিজে ডিজাইন করে তা ছুতোরদের দিয়ে তৈরি করিয়ে নিয়েছিল। এভাবেই কয়েকবছর চলল ওই বাড়িতে। এরপর আমরা মন্নত নামের এই বড় বাড়িটি কিনতে আসি। এবারেও সেই একই গল্প। সম্পত্তির পেছনেই এত টাকা খরচ হয়ে যায় যে অভ্যন্তরীণ সজ্জার জন্য আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না। আর এবারেও গৌরী আমাদের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হয়ে ওঠে।
শাহরুখ এবং গৌরী প্রায় ছয় বছরের প্রেমের পর ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন। ১৯৯৭ সালে তাদের প্রথম ছেলে আরিয়ান খানের জন্ম হয়। পরে তাদের কন্যা সুহানা খান ২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। আর তাদের সবচেয়ে ছোট ছেলে আব্রাম খানের ২০১৩ সালে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয়।