একটি প্রতিদ্বন্দ্বী আধা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে প্রায় এক সপ্তাহের সংঘর্ষের পর দেশের জনগণকে ঈদুল ফিতর উদযাপনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সুদানে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এই যুদ্ধবিরতি গতকাল (শুক্রবার) ঈদের দিন থেকে কার্যকর হয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, সশস্ত্র বাহিনী আশা করে, বিদ্রোহীরা যুদ্ধবিরতির সব শর্ত মেনে চলবে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এমন যেকোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকবে।
তবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সুদানের আধা সামরিক বাহিনী বা আরএসএফ ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর বিবৃতি প্রকাশের পর রাজধানী খার্তুম থেকে ভারী অস্ত্রসস্ত্রের গোলাগুলি শোনা গেছে।
ড্রোন থেকে তোলা ভিডিও ফুটেজে খার্তুম এবং এর আশপাশের কয়েকটি শহর থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লউএইচও’র ঘোষণা অনুযায়ী, সুদানে গত প্রায় এক সপ্তাহের সংঘর্ষে অন্তত ৩৩০ ব্যক্তি নিহত ও অপর ৩,২০০ মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশিরভাগ রাজধানী খার্তুম ও এর পশ্চিম দিকের শহরগুলোর অধিবাসী।
সংঘর্ষে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডাব্লিউএফপি’র তিন কর্মীসহ পাঁচজন ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। তিন কর্মী নিহত হওয়ার পর ডাব্লিউএফপি সুদানে তার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে। আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুদানের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ যখন খাদ্য সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল তখন দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বী দু’টি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।