আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মিরপুরেও জয়ের দেখা পেলো না বাংলাদেশ

মিরপুরেও জয়ের দেখা পেলো না বাংলাদেশ

প্রায় দুই বছর পর দর্শকদের গর্জনে কেঁপেছিল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।  আবারো নিজেদের আনপ্রেডিক্টেবলিটির প্রমাণ দিলো পাকিস্তান। বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল নিজেদের সামর্থ প্রমাণের। শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে যা এক প্রকার কঠিনও ছিল। 

এতে করে শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিতে ১-০ তে এগিয়ে গেলো। ব্যাট হাতে টাইগারদের ব্যাটারদের যেনো বিশ্বকাপের ভূত তাড়া করছিল। তবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বিশ্বকাপের ব্যর্থ বোলার হাসান আলী। তুলে নিয়েছেন টাইগারদের তিন উইকেট।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হয় দুপুর ২টায়। 

বাংলাদেশের দেয়া লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই পাকিস্তান হারিয়ে ফেলে রিজওয়ান, বাবর, হায়দার ও মালিকদের। এরপর দলের হাল ধরেন ফাখর জামান ও খুশদিল শাহ। পঞ্চম উইকেটে এ দুইজন ৫৬ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৮০ রানে ফখর জামানকে ফেরান তাসকিন। তার আগে ফখর ৩৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। ফখরের বিদায়ের ১৬ রান পর ৩৫ বলে ব্যক্তিগত ৩৪ রান করা খুশদিল শাহকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। 

খুশদিলের বিদায়ের পর ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। শাদাব ১০ বলে ২ ছয় ও এক চারে ২১ রান এবং নওয়াজ ৮ বলে ২ ছয় ও এক চারে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। 

বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ২টি, মেহেদি, মুস্তাফিজ ও শরিফুল প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পান। 

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই উইকেট হারায়। দলীয় ৩ রানে নাঈম শেখকে ফেরান হাসান আলী। অভিষিক্ত সাইফ হাসান ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে যখন দলীয় রান ১০। দলীয় ১৫ রানে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে শান্তকে ফেরান ওয়াসিম। দলীয় ৪০ রানে মোহাম্মদ নাওয়াজ বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহকে। দলীয় ৬১ রানে ৩৪ বলে ৩৬ রান করা আফিফকে ফেরান শাদাব খান। সোহান ২২ বলে ২৮ রান করে দলীয় ৯৬ রানের ফেরেন হাসান আলী দ্বিতীয় শিকার হয়ে। 

সপ্তম উইকেট হিসেবে দলীয় ১১০ রানে হাসান আলীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আমিনুল ইসলাম। ম্যাচে এটি হাসান আলী তৃতীয় উইকেট ছিল। শেষ ৮ বলে বাংলাদেশ ১৭ রান যোগ করতে সক্ষম হয়। মেহেদি হাসান ২০ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। 

বিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়ে থাকা হাসান আলী এদিন ২২ রান খরচায় তিন উইকেট তুলে নেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি, নাওয়াজ ও শাদাব খান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মিরপুরেও | জয়ের | দেখা | পেলো | বাংলাদেশ