আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে মৃত্যুদণ্ড

এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে মৃত্যুদণ্ড
দেশটিতে এক কেজি গাঁজা পাচারের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত এক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সিঙ্গাপুর। এই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড বাতিল করতে আন্তর্জাতিক আহ্বান থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুধবার (২৬ এপ্রিল) এই ফাঁসি কার্যকর করা হয়। দুই দশমিক দুই পাউন্ড গাঁজা পাচারের দায়ে ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হন তাঙ্গারাজু সুপ্পিয়াহ নামের ওই ব্যক্তি। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে পরিবার ও অধিকারকর্মীদের শেষ মূহূর্তের আবেদনেও সাড়া দেয়নি সরকার। সিঙ্গাপুরে মৃত্যুদণ্ডবিরোধী আন্দোলনকারী কার্স্টেন হান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে দেয়া পোস্টে জানান, তাঙ্গারাজুর পরিবারকে এরই মধ্যে মৃত্যুসনদ দেয়া হয়েছে। এক কেজির সামান্য বেশি গাঁজা পাচারের চেষ্টায় সহায়তার জন্য তাঙ্গারাজুকে মৃত্যুদণ্ড দেন এক বিচারক। রায়ে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে চোরাইপথে গাঁজা পাচারের চেষ্টাকারীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন এ ব্যক্তি। পরিবার ও অধিকারকর্মীদের ভাষ্য, তাঙ্গারাজু যথাযথ আইনি সহায়তা পাননি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার জন্য তামিল দোভাষী রাখার আবেদনও নাকচ করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রাজুর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সুনির্দিষ্ট ছিল না। আইনজীবী ছাড়াই তাকে জেরা করেছে পুলিশ। এমনকি তামিল দোভাষী চাওয়া হলেও তাকে দেয়া হয়নি। তাঙ্গারাজুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মধ্য দিয়ে গত ছয় মাসে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর করল সিঙ্গাপুর। এর আগে গেলো বছর ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল দেশটি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এক | কেজি | গাঁজা | পাচারের | দায়ে | মৃত্যুদণ্ড