অবশেষে চলতি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুলভ্রান্তির সংশোধনী দিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বহু আলোচনা-সমালোচনার পর শিক্ষাবর্ষের চার মাসের মাথায় সংশোধনীগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশোধনীতে দেখা যায়, প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদাভাবে এই সংশোধনী দেয়া হয়েছে। কোন পৃষ্ঠায় ভুলগুলো কী ছিল, সেটি উল্লেখ করে সংশোধনীগুলো কী কী হবে তা, উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি করণীয় সম্পর্কে মন্তব্যও করা হয়েছে।
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ১৩টি করে মোট ২৬টি বইয়ে ৪২৮টি ভুলের সংশোধনী আনা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২০২টি এবং সপ্তম শ্রেণিতে ২২৬টি ভুল সংশোধন করা হয়। দুই শ্রেণির ইংরেজি সংস্করণের (ভার্সন) বিভিন্ন বইয়ে ৮৫টি ভুল সংশোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশদ আকারে সংশোধনের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে ১০টি বই পড়তে হয়। বিভিন্ন ধর্মের বই মিলিয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে মোট বই ১৩টি।
এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, দুটি শ্রেণিতেই ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ অনুশীলন বইয়ে সবচেয়ে বেশি ভুল ছিল। বিতর্কের জেরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি।
নতুন সংশোধনীতে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের বিষয়ে আলাদা নোট দিয়ে বলা হয়েছে, অনুশীলন বইয়ে যে যে স্থানে অনুসন্ধানী পাঠ অথবা রিসোর্স বই দেখতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা সে সে স্থানে শিক্ষকের সহায়তায় উপযুক্ত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা দুটি পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের কাজ করছি। চলতি বছরের চার মাস চলে যাওয়ায় যেসব বিষয়ে সংশোধন আনা একান্ত প্রয়োজন, তা সংশোধন করা হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে। শিক্ষকরা সংশোধনী দেখে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন। এ ছাড়া ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশদ আকারে সংশোধনের কাজ চলছে।’