আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ৩৯ ঘণ্টা পর বর ও মায়ের লাশ উদ্ধার

বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ৩৯ ঘণ্টা পর বর ও মায়ের লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর দশমিনায় শমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়ার বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে ঝড়ের কবলে পরে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বর ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে নদী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে দুইজন। রোববার (৩০ এপ্রিল) খুব সকালে বদনার চর নামক স্থান থেকে মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এরা হলেন- গুলি আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে (বর) রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০)। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার মো. রেজওয়ান। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন -উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) ও উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)। আজও নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গেলো শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। বরের স্বজনরা জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার বিকেলে নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গেলে ঝড়ের কবলে পরে বুড়াগৌরঙ্গ ডুবে যায়। দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজদের উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাবে। এছাড়াও নিহতদের পরিবারকে জন প্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বরযাত্রীবাহী | ট্রলারডুবির | ৩৯ | ঘণ্টা | বর | ও | মায়ের | লাশ | উদ্ধার