গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল আবেদন করেছেন। কিন্তু জুন মাসের ৭ তারিখের আগে এ কোর্ট কোনোভাবেই শুনানি করতে পারবেন না। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জুন মাসের আগেই এ মামলাটির শুনানি শেষ হবে কারণ বাজেটে এ রাজস্ব দেখাতে হবে।
তবে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, তারা শুনানির জন্য প্রস্তুত না। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, যদি এ মাসে তারিখ না দেয়া হয় তবে তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করবেন। এ সময় আদালত এ মামলার দ্রুত শুনানি করতে পারবেন না এমন বিবেচনায় কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, এ মামলার দ্রুত শুনানির জন্য তিনি হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে দ্রুতই আবেদন করবেন।
এর আগে, রোববার (৭ মে) হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২-১৭–এই পাঁচ বছরে ১১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণের ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা; একই তহবিলের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে ২১৫ কোটি টাকা।
এর আগে, ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১০০ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছিল দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল।