আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মেসির সাত ব্যালনে কেঁদেছিলেন যারা

মেসির সাত ব্যালনে কেঁদেছিলেন যারা

বয়স এখন ৩৪। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে আরো একবার ব্যালন জয়। একে অবিশ্বাস্য বলেই জানালেন লিওনেল মেসি। প্রথমবার পাওয়ার পর আরেকবার পাওয়ার আকাঙ্খা করেছিলেন। যেটা অবিশ্বাস্যতে এসে থামলো। এ চলার পথে অনেককেই কাঁদতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কেঁদেছেন পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

২০০৯ সালে প্রথম ব্যালন জয়ে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও জাভি হার্নান্দেজ। রোনালদো সে বছর তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে সবে পাড়ি জমিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। আর জাভি ছিলেন তার ক্লাব সতীর্থ। ২০১০ সালে দ্বিতীয়বার ব্যালন ঘরে তোলার পথে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হন তারই ক্লাব সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জাভি হার্নান্দেজ।

তৃতীয় ব্যালনটি মেসি ঘরে তোলেন ২০১১ সালে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের রোনালদো ও ক্লাব সতীর্থ জাভি হার্নান্দেজ। ২০১২ সালে চতুর্থবারের মতো এটি নিজের করে নেন ক্ষুদে জাদুকর। এ সময়ও তার বাকি দুই প্রতিযোগী ছিলেন রিয়ালের রোনালদো ও ক্লাব সতীর্থ জাভি।

মাঝে দুই বছর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এটি ঘরে নেন রিয়ালের হয়ে খেলা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু ২০১৫ সালে পঞ্চমবারের মতো ব্যালন পুনরুদ্ধার করেন মেসি। এবার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রিয়ালের রোনালদো ও ক্লাব সতীর্থ নেইমার।

২০১৬ থেকে ২০১৮ এই তিন বছর ব্যালন হাতছাড়া হয় আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। হ্যাটট্রিক শিরোপা খরা কাটিয়ে ষষ্ঠবারের এটি ঘরে তোলেন ২০১৯ সালে। তখন প্রতিযোগী হিসেবে পান লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো ভার্জিল ফন ডাইক ও রিয়ালের রোনালদোকে। করোনার কারণে ২০২০ সালে ব্যালন দেয়া থেকে বিরত থাকে কর্তৃপক্ষ। তবে এ দিলে প্রথমবারের মতো পেতে পারতেন রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। একবছর পর ২০২১ সালে আবার মেসির ছোঁয়া পায় ব্যালন। এবারও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন তারকা রবার্ট লেভান্ডোভস্কি।

উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেয়া চালু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেয়া হতো। এর পর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।

ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়েছিল ২০১০ সালে। ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে আবার একাই ব্যালন ডি’অর দেয়া শুরু করে ফ্রান্স ফুটবল। ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্ধারণ করা হয় সাংবাদিকদের ভোটে।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মেসির | সাত | ব্যালনে | কেঁদেছিলেন | যারা