দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত গুচ্ছভিত্তিক 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নানামুখী সহায়তা প্রদান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুইটি পক্ষ।
শনিবার (২০মে) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, বর্ডার গার্ড পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট কলেজসহ মোট ৬ টি কেন্দ্রে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ সেবা দেন।
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, নেতাকর্মীরা ভর্তিচ্ছুদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফাস্ট এইডের ব্যবস্থা, ভুল করে কোন পরীক্ষার্থী অন্যকেন্দ্রে চলে গেলে দ্রুত সময়ে নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে 'জয় বাংলা বাইক সার্ভিস' সেবা চালু করেন। ভর্তিচ্ছুদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাফিক টিম, ন্যায্য মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা, ন্যায্য ভাড়ার ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় মোবাইল-মানিব্যাগ ইত্যাদি নিরাপদে রাখার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বুথের ব্যবস্থা করেন।
এছাড়া অভিভাবকদের মাঝে বিনামূল্যে সুপেয় পানি, শরবত বিতরণসহ বসার জন্য অভিভাবক কর্ণারের ব্যবস্থা করেন। সন্তানকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা অভিভাবকরা মুগ্ধ হয়েছেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন সেবামূলক কাজে।
ছাত্রলীগের সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এক অভিভাবক বলেন, ছাত্রলীগ যা করতেছে সবদিক দিয়ে এটা মানবিক কাজ। তাদের এমন কাজ আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য খুবই ভাল উদ্যোগ। আমাদের যে এত গরমের মধ্যে বসার ব্যবস্থা করে দিল তা খুবই ভালো লাগলো।
ছাত্রলীগ নেতা মেজবাউল হক শান্ত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশনের অন্যতম পদক্ষেপ স্মার্ট ক্যাম্পাসের লক্ষ্যে কাজ করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রোল মডেল। আমাদের হাত ধরেই স্মার্ট ক্যাম্পাসের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
ছাত্রলীগে নেতা রেজা-ই-এলাহী বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দিকনির্দেশনায় আমরা হেল্প ডেস্ক, তথ্য কেন্দ্র, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদে রাখা, সুপেয় পানি, অভিবাবকদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ, আমাদের ৫০ টির মত বাইক ' জয় বাংলা বাইক সার্ভিস' নানা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেয়া, অনেক শিক্ষার্থী এডমিট কার্ড বাড়িতে রেখে আসলে আমাদের বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে যথা সময়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে চলতেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রলীগের সহায়তায় সবাই মুগ্ধ হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও ছাত্রলীগের এ কাজের সাধুবাদ জানিয়েছে।