অভিনয়ে মন জয় করেছেন বিশ্ববাসীর। সেবামূলক কাজেও তিনি সিদ্ধহস্ত। পাশাপাশি স্ত্রী এবং মা হিসাবেও কম যান না প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। রান্নাটাই বা বাকি থাকে কেন? রাঁধতেও ভালোইবাসেন, কিন্তু মনের কোনে জমেছিল আক্ষেপ। তার বাবা অশোক চোপড়া যে একেবারেই পছন্দ করতেন যে তার আদরের মেয়ে হাত পুড়িয়ে রাঁধুক! সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এসে প্রিয়াঙ্কা ফাঁস করলেন সেই অধ্যায়।
রন্ধনশিল্পী হয়েই সেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন অভিনেত্রী। জানালেন, রান্নায় খুব একটা দক্ষ নন তিনি, যদিও ভালোইবাসেন রাঁধতে। আগ্রহও আছে বিষয়টির প্রতি। তবু কেন রান্না করা হয়ে ওঠেনি?
প্রিয়াঙ্কা বললেন, আমি রান্না করি, এটা বাবা পছন্দ করত না একদম। রান্নাবান্না করতে উৎসাহও দিত না আমায়। আসলে মেয়ে বলেই সারা ক্ষণ হেঁশেল সামলাতে হবে, এমন ধারণায় বিশ্বাস করত না আমার বাবা। পুরুষ-মহিলার এ হেন বিভাজনে আপত্তি ছিল তার।
প্রিয়াঙ্কা জানান, তার বাবা মধ্যবিত্ত পরিবারেই বড় হয়েছেন, যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেয়েদের রান্নাঘরে কাটাতে দেখেছেন। সেই ব্যাপারটা তার ভালো লাগেনি।
অশোকের মনে হত, এটা একটা দীর্ঘদিনের চল এবং মহিলাদের উপর সামাজিক চাপেরও বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অশোক চাননি, প্রিয়াঙ্কাও হেঁশেল ঠেলে বড় হয়ে উঠুন। তাই রান্নাঘরে ঢুকলেই বাবা বেরিয়ে আসতে বলতেন তাকে। যদিও অনুষ্ঠানে এসে মনের সুখে রাঁধলেন প্রিয়াঙ্কা।
একেবারে শেষে বানান স্টাফড ওমলেট। জানালেন, এই পদ চোপড়া পরিবারের ঐতিহ্যবাহী। সবাই খেতে পছন্দ করেন। প্রিয়াঙ্কার বাবা প্রতি রোববার এটি বানাতেন। আমেরিকায় সংসার পাতলেও এখনও ভারতীয় প্রাতরাশই পছন্দ প্রিয়াঙ্কার। ভালো ধোসা, ভালো পরোটা খেতে ভালোবাসেন তিনি। তবে ডিমের পদ পেলে আর কিছু চাই না প্রিয়াঙ্কার। প্রিয়াঙ্কা জানান, তার শিশুকন্যা মালতীও খেতে ভালোবাসে। রোজ রোজ এক খাবার পছন্দ নয় তার। একরত্তিও পছন্দ করে পদের বৈচিত্র।