বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিজিবি এখন থেকে মামলা করতে পারবে। জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (২৪ মে) বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
এর আগে বিজিবি কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই বাহিনী কর্তৃক দায়ের করা মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ মে) বিজিবি কর্তৃক দায়ের করা এক মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ‘বিজিবির মামলার দায়ের নিয়ে আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রমও স্থগিত করেছেন আদালত। এই আইনগত প্রশ্নের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিজিবির সদস্য কর্তৃক বাদী হয়ে ফৌজদারি মামলা করার আপাতত সুযোগ নেই। ’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করে বিজিবি। এ ঘটনায় ওই দিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ এনে কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে বিজিবি। এই মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিট আমলে নেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত। এই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি কামরুজ্জামান খান।
ওই আবেদনের শুনানিতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার বিজিবির আইনগত এখতিয়ার রয়েছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যে কেউ মামলা দায়ের করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিজিবিও এর বাইরে নয়। তার জবাবে আদালত বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনের কোথাও বিজিবিকে মামলা দায়েরের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি দেখতে পাওয়া গেল না। শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন।