বরিশালে লঞ্চের কেবিন থেকে উদ্ধার নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। শারমিন নামে ওই নারীকে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামীই তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ শারমিনের পরিবারের।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন শারমিনের বাবা।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বরিশাল নদীপথে কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কেবিন থেকে শারমিন আক্তার নামে যে নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়, তার স্বামী মাসুদ হাওলাদারই হত্যা করেছে বলে এমন অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শুক্রবার রাতে তারা শারমিনকে শনাক্ত করেন। পরে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত শারমিনের বাবা এনায়েত হোসেন।
শারমিনের পরিবারের অভিযোগ, এক বছর আগে শারমিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ধর্ষণ করে মাসুদ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছিল। পরে ওই মামলা নিষ্পত্তি করে দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়।
তবে এ বিয়ের পর থেকেই শারমিনকে নানাভাবে নির্যাতন করত তার স্বামী।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল করিম জানিয়েছেন, হত্যাকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শারমিন গেল ১২ বছর ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন, তার স্বামী মাসুদও গার্মেন্টসকর্মীই বলে জানা গেছে।
মুক্তা মাহমুদ