পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সুপ্রিমকোর্টে (এসসি) একটি পিটিশন দাখিল করেছেন। এতে দেশটির কিছু অংশে ‘অঘোষিত সামরিক আইন’ কার্যকর এবং তার দলের উপর চলমান আক্রমণাত্মক ক্র্যাকডাউনের (সাঁড়াশি অভিযান) বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়ো মোটো) নোটিশ জারির করার আবেদন জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পাকিস্তানি সংবাদ সংস্থা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইমরান খান তার আইনজীবী হামিদ খানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আদালতকে ফেডারেল ক্যাপিটাল টেরিটরি, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় সংবিধানের ২৪৫ অনুচ্ছেদের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতার প্রয়োগে সাহায্য করার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, বস্তুনিষ্ঠ শর্তের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ফেডারেল মন্ত্রিসভার মাধ্যমে এ ক্ষমতার নির্দেশিত প্রয়োগ স্পষ্টতই মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।
পাকিস্তানি এ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইমরান খান গত ৯ মে তার গ্রেপ্তারের ঘটনা এবং পরবর্তী ঘটনাবলী তদন্তের জন্য সুপ্রিমকোর্টের একজনের বিচারকের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠনের জন্য অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সামরিক স্থাপনায় হামলা এবং শহীদদের স্মৃতিসৌধের অসম্মান করার অভিযোগে জড়িত ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হবে সামরিক আদালতে।
অপরদিকে ইমরান খান অভিযোগ করেছেন যে, তার দলের নেতাদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। ৯ মে’র পর থেকে পিটিআইয়ের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা পদত্যাগ করেছেন।
সর্বশেষ পিটিআই মহাসচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আসাদ উমর। এর আগে পিটিআই থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরী এবং শিরিন মাজারি।