বস্তির কন্যা মালীশা রাতারাতি বিদেশী সংস্থার মডেল হিসেবে হলিউডে যোগ করেছেন। এক রাতেই ঘটে গিয়েছিল চমৎকার। মালীশা যেন রূপকথার রাজকন্যা৷ যা মানুষ স্বপ্নে দেখে তা ঘটে গেল বাস্তবে। মুম্বাইয়ের ধারাভি বিদেশীদের জন্য একটা আকর্ষণের জায়গা কথাটা কঠিন হলেও বাস্তব। বস্তির আনাচে কানাচে বহু বিদেশীদেরই ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তারা দেখেন ভারতের দারিদ্রের লাইভ ফুটেজ। কিন্তু সেখান থেকেই বদলে গেল ১৪ বছর বয়সের মালিশা খারওয়ার গোটা দুনিয়া। অনেকেই বলছেন শ্যামলা রঙের এই মেয়েটা বিদেশি বিউটি ব্র্যান্ডের মডেল।
২০২০ সালে মুম্বাইয়ে মালীশাকে আবিষ্কার করেন হলিউড অভিনেতা তথা পরিচালক রবার্ট হফম্যান। মায়ানগরীর সেই ঘিঞ্জি স্যাঁতস্যাঁতে বস্তিতে গিয়ে হাসিখুশি, আমুদে স্বভাবের তরুণীটির সঙ্গে পরিচয় হয় হফম্যানের। ধারাভিতেই এক অস্থায়ী জায়গায় তার বাবা-মা, দাদু-দিদা, ভাই এবং কাকার সঙ্গে বসবাস করতেন। হঠাৎ তিনি আমেরিকান অভিনেতা রবার্ট হফম্যানের নজরে পড়ে যান। এরপরই তার একাধিক ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজ তৈরি করে দেন হলিউড পরিচালক। আর সেই সুবাদেই মালীশার এখন ফলোয়ার্সের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ইন্সটাগ্রামে তার অনুরাগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ২৫ হাজারেও বেশি।
হ্যাসট্যাগ প্রিন্সেস ফ্রম স্লাম মানে বস্তির রাজকুমারী। হ্যাঁ ঠিক এই হ্যাসট্যাগই নিজের ভিডিওতে ব্যবহার করেন মালীশা। মালীশা খারওয়ার পেজটির নাম ‘গো ফান্ড মি’ একাধিক তাবড় তাবড় সংস্থার হয়ে মডেলিং করছেন এই কৃষ্ণবর্ণা কন্যা এবার ‘ফরেস্ট এসেনশিয়ালস’-এর দ্য যুবতী কালেকশন-এর মুখ হলেন। এখন তিনি তরুণ প্রজন্মের অনেকের অনুপ্রেরণা।
মালিশা ভগ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন এ পর্যন্ত যত কাজ তিনি করেছে তার মধ্যে ফরেস্ট এসেনশিয়ালসের প্রচারে অংশ নেয়াটি ‘সবচেয়ে বড় কাজ’। বড় হয়ে মডেলই হতে চান মালীশা। পড়াশোনা তার কাছে সবথেকে আগে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের অন্তর্গত সাধারণ মেয়ে থেকে এতো বড়ো মডেল হওয়া মুখের কথা নয়। যেখানে দিনে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়াই একটা বিলাসিতা। সেখানে মালীশার এই কাহিনী বুঝিয়ে দেয় পৃথিবীতে চমৎকার এখনও হয়৷