বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে যাচ্ছে প্রায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আইএমএফের শর্ত পূরণ ও জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় এবারের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপ কিংবা ছাড়ের প্রস্তাবনা আসতে পারে। তাই কমতে পারে কিছু পণ্যের দাম।
দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের
মাংস, দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট, মিষ্টি জাতীয় পণ্য, অভিজাত বিদেশি পোশাক এবং ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জসহ শুল্ক ছাড়ের কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম।
ধারণা করা হচ্ছে এবারের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া পণ্যটির দাম কমিয়ে আনা হতে পারে।
দেশীয় উৎপাদনকে আরও উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব আতে পারে। তাই কমতে পারে দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের দাম।
দাম কমানোর তালিকায় রয়েছে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় পণ্য। কারণ, এ জাতীয় পণ্যগুলো থেকে প্রায় অর্ধেক ভ্যাট কমিয়ে আনা হতে পারে। এ ছাড়া মিষ্টিজাতীয় কিছু প্যাকেটজাত পণ্যেও ভ্যাট কতে পারে।
দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা কাপড়ের ওপর থেকে শুল্ক কমানো বা অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। ফলে দাম কমতে পারে বিলাসবহুল কাপড়ের পোশাকের। এনবিআর একটি সূত্রে জানা যায়, এসব পণ্যে শুল্ক-কর ২০-২৫ কমিয়ে ৫ থেকে ১০ করা হতে পারে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি মেনে নিয়ে বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। ফলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো ভ্যাট অব্যাহতি পেলে কমবে ডেলিভারি চার্জ।