বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ ২৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা হয়েছে। জিডিতে বিএনপিপন্থি ১০০-১৫০ জন অজ্ঞানতামা আইনজীবীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। জিডির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।
বুধবার (৩১ মে) কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আদালতে হট্টগোলের ঘটনায় একটি জিডি করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির শাহ মো. মামুন। মঙ্গলবার রাতেই জিডি করা হয়েছে। তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
যাদের নামে জিডি করা হয়েছে তারা হলেন- বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, সেলিম, মিলন, মিনহাজ রানা, আনোয়ার হোসেন, মো. জাবেদ, শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল হান্নান, আব্দুল খালেক মিলন, জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম, তাহমিনা আক্তার হাশমী, শামিমা আক্তার শাম্মি, নারগিস সুলতানা মুক্তি, ওমর ফারুক ফারুকী, মো. নিজাম উদ্দিন নিজাম, মো. ইব্রাহীম স্বপন, মো. মোয়াজ্জেম, মো. নুরুজ্জামান, এইচ এম মাসুম, মো. হিরা, মো. সামছুজ্জামান দিপু, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. মাসুম হাসান, মো. নিহার হোসেন ফারুক, মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, জহিরুল ইসলাম মুকুল, নুরুজ্জামান তপনসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা।
জিডিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩০ মে) মহানগর দায়রা জজ কোর্ট ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। দুপুরের বিরতির পর মহানগর দায়রা জজ বিকেল ৩টায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত করার লক্ষ্যে উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আদালতের ভেতর হট্টগোলসহ সাক্ষীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। আদালতে উপস্থিত অ্যাডিশনাল পিপি তাপস পাল ও দুদকের পিপি জাহাঙ্গীর হোসাইন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগানসহ হট্টগোল করে বিচারিক কার্যক্রম ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে আদালতের ভেতর ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে মহানগর দায়রা জজ আদালত সাময়িক মুলতবি করেন। পরবর্তী সময়ে থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আরও কিছু সময় পরে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা আদালতে প্রবেশ করলে বিএনপিপন্থি উল্লিখিত সব আইনজীবী হট্টগোল করতে করতে আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন। পরবর্তীসময় আদালত পুনরায় মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণসহ দিনের পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম শেষ করেন।