ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই, আটলান্টিক পাড়ের আমেরিকায় না গেলে আমাদের কিছু যায় আসে না। পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবো। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে স্যাংশন দেবে, ও নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। ২০ ঘণ্টা জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। আমরা সেসব মহাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের কল্যাণে ত্যাগ করলে, তার মূল্যায়ন করে জনগণ। দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা কিন্তু তারেক জিয়াকে ভিসা দেয়নি। তারাই এখন আবার ওদের পেছনে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম। তবে এখন গ্যাস, তেল ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভোগান্তি বেড়েছে। যুদ্ধ, করোনা ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জ্বালানি সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে সুখবর হলো–কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। শিগগিরই জ্বালানি হাতে পেলে কষ্ট দূর হবে।’
তিনি বলেন, ‘একবার কেউ বিদ্যুতে অভ্যস্ত হলে তা না পেলে ভোগান্তি বাড়ে। আমরা সব ধরনের সমস্যা কাটিয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কাজ করছি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ, যে খরচ যায় তার বিপরীতে আমরা অর্ধেক খরচ নিচ্ছি। পানির পরিশোধনেও একই অবস্থা, তাই সবাইকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়েই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নামক সংগঠন এদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় ভূমিকা পালন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে যোগাযোগব্যবস্থায়। ২০০৮ সালের বাংলাদেশের সঙ্গে ২০২৩ সালের তুলনা করলেই সেটা দেখা যাবে। এক দিনে একশ সেতু উদ্বোধন পৃথিবীতে কোনো সরকার করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে মন্দা চলছে। গ্যাস-তেল-কয়লার দাম বেড়ে গেছে, কয়লা পাওয়াই যাচ্ছে না। আমাদেরও পেতে সমস্যা হচ্ছে। জানি গরমে সমস্যা হচ্ছে। আমরা তো লোডশেডিং দূরই করে দিয়েছিলাম। করোনা আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে এই সমস্যা হতো না।