ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১০১টি মরদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এসব মরদেহ একাধিক মর্গে ভাগ করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সোমবার (৫ জুন) বিকেলের পর দুর্ঘটনাস্থলে আবারও ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। ঘটনাস্থলে এখনও পড়ে আছে দুর্ঘটনার কবলে পড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বগি। এখনও ঘটনাস্থল ঘিরে হাহাকার আর কান্নার রোল। প্রিয় মানুষকে খুঁজে ফিরছেন আত্মীয়-স্বজনরা।
আর এরই মধ্যে রেলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১০১টি মৃতদেহ এখনও মর্গে পড়ে আছে। তাদের চিহ্নিত করা যায়নি। এসব মরদেহ একাধিক মর্গে ভাগ করে রাখা হয়েছে।
পূর্ব মধ্য রেলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার রিনকেশ রায় সাংবাদিকদের বলেছেন, দুর্ঘটনায় সব মিলিয়ে ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১০০ মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার মধ্যে ৯০০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তবে যেসব মরদেহ চিহ্নি হয়নি, সেগুলো নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রেল কর্তৃপক্ষ। এতগুলো মরদেহ একসঙ্গে রাখা কঠিন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এর আগে গত শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে একটি মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। বহুদিনের মধ্যে এতো ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটেনি ভারতীয় রেলে। ঘটনাস্থলে কার্যত মুড়ির টিনের মতো উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই ট্রেনটি।
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, সিগনালিংয়ের ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে তদন্ত এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।
এদিকে স্থানীয় হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, প্রতিদিন শত শত ফোন আসছে তাদের কাছে। আত্মীয়দের খুঁজতে শত শত মানুষ প্রতিদিন হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। আহতদের কাছেও ধীরে ধীরে আত্মীয়রা পৌঁছাচ্ছেন।
বিএমসি হাসপাতালে ১৯৩টি মৃতদেহ রাখা আছে। তার মধ্যে মাত্র ৮০টি চিহ্নিত হয়েছে। ৫৫টি মরদেহ আত্মীয়দের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকেলের পর ওই রুটে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।