দেশের ৬ অঞ্চলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৭ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও ততসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত (পুন:) ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া যশোর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত (পুন:) ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, তীব্র দাবদাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সারা দিন কাজের ব্যাঘাত তো ঘটছেই, লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুমাতে পারছে না মানুষ। সামান্য বৃষ্টির আশায় কাতর সবাই।
তবে সোমবার ও মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টির দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নামতেই দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি। সারা দিন তীব্র দাবদাহে ছটফট করা চট্টগ্রাম নগরবাসীর জন্য যেন খানিকটা প্রশান্তি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কখনো হালকা কখনো ভারী বৃষ্টি হয়েছে নগরীতে। জ্যৈষ্ঠের খরতাপে পোড়া নগরবাসীর জন্য অন্যরকম এক প্রশান্তি হলেও বৃষ্টি শেষে আবার গরম শুরু হয়েছে।