গরমের ছুটি শেষ হয়নি এখনও। এই গরমে বাড়ির খুদেটির বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। গরমে স্কুলে যাচ্ছে না মানেই কোনও ঝুঁকি থাকছে না তা নয়। তা ছাড়া কয়েক দিন পরেই স্কুল খুলে যাবে। তার আগে তাপপ্রবাহ কমে যাবে, এমন কোনও পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের তরফে নেই। তাই সন্তানকে যত্নে রাখতে কিছু নিয়ম তো মেনে চলা অবশ্যই প্রয়োজন। শরীরের অন্দরে কী সমস্যা হচ্ছে, বাচ্চারা সব সময় তা প্রকাশ করতে পারে না। গরমে সন্তান ভিতর থেকে সুস্থ আছে কি না, তা বাইরে থেকে বোঝা সহজ নয়। তবে কিছু লক্ষণ আছে যেগুলি ইঙ্গিত দেয় গ্রীষ্মের প্রভাব পড়েছে খুদেটির উপরেও। সব সময় তেষ্টা পাওয়া, বমি বমি ভাব, মাথ্যব্যথা, ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, পেশিতে ব্যথা— এই লক্ষণগুলি যদি শিশুর মধ্যে দেখতে পান, দেরি না করে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই, সেই সঙ্গে কিছু নিয়ম নিজেদেরও মেনে চলতে হবে।
১) গরমের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত খুদেকে সুতির পোশাক পরান। সিন্থেটিক, জর্জেটের কোনও পোশাক ভুলেও শিশুর গায়ে তুলবেন না। পোশাক যেন খুব আঁটসাঁট না হয়। অস্বস্তি হতে পারে এমন পোশাক কখনওই পরাবেন না। এতে রক্ত চলাচল সচল থাকবে।
২) দুপুরের দিকে সন্তানকে নিয়ে কোথাও না বেরোনোই শ্রেয়। তবে একান্তই যদি বেরোতে হয়, সে ক্ষেত্রে সব রকম সুরক্ষা নিন। শিশুর মাথায় পাতলা সুতির স্কার্ফ জড়িয়ে দিন। কিংবা টুপিও পরাতে পারেন। সানস্ক্রিন মাখাতেও ভুলবেন না।
৩) বাচ্চাদের পানি খাওয়ার প্রতি একটা অনীহা থাকে। তাই জোর করে হলেও বারেবারে জল খাওয়ান। দিনে অন্তত ২ লিটার জল খাওয়া জরুরি। এতে শরীর আর্দ্র থাকবে। এ ছাড়া লেবুর রস, ডাবের জল, জলের পরিমাণ বেশি— এমন ফল বেশি করে খাওয়ান।
৪) বাইরের খাবার পেলে আর কিছু চাই না বাচ্চাদের। কিন্তু এই মৌসুমে বাইরের খাবার একেবারেই বাচ্চার পাতে রাখবেন না। দরকার হলে বাড়িতেই বানিয়ে দিন খুদের পছন্দসই খাবার। দোকানের পিৎজা, বার্গার, রোল, চাউমিন থেকে দূরে রাখুন সন্তানকে।
৫) একসঙ্গে বেশি খাবার খাওয়াবেন না। তাতে হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে খাওয়ান। তাতে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টিও পৌঁছবে। আবার পেটও ভর্তি থাকবে।