শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সরকারের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করা। বললেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (১২ জুন) ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে রোববার দেয়া বাণীতে তিনি এ কথ বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সরকারের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করা। শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।’
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর শিক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি’ খুবই সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “শিশুশ্রম নিরসনে সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অঙ্গীকারবদ্ধ। ওই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিভিন্নমুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে। প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরকিল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।”
বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম নিরসনকে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শিশুশ্রম নির্মূলে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে চারস্তরবিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপ্রধান আশা করেন পর্যায়ক্রমে সব প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করার কার্যক্রম বেগবান হবে। রাষ্ট্রপতি বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নেওয়া সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।