সূর্যের আলোতে ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি এর উপস্থিতির কারনে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় খুব দ্রুত। আর তাই রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার চল হয়েছে অনেক দিন। যাদের ত্বক রোদে সহজেই পুড়ে যায় বা রোদ লাগলেই যাদের ত্বকে নানা রকম অ্যালার্জি হয়, সানস্ক্রিন ছাড়া তাদের বাইরে বেরোনো প্রায় অসম্ভব। আবার অনেকেই মনে করেন, অতিরিক্ত পরিমাণে এই ক্রিম ব্যবহার করলে বোধ হয় ত্বকের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, অনেকটা পরিমাণে ক্রিম ব্যবহার করা মানেই যে তা ত্বককে বাড়তি সুরক্ষা প্রদান করবে, এমন ধারণা কিন্তু ভিত্তিহীন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে পরিমিত পরিমাণে। প্রয়োজনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অন্তর পুনরায় এই ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
কতটুকু ক্রিম প্রয়োজন?
অনেকেই এ ক্ষেত্রে দু’টি আঙুলের সাহায্য নিয়ে থাকেন। দু’টি আঙুলের ডগায় যে পরিমাণ ক্রিম রাখা যায়, সেটুকুই মুখের জন্য যথেষ্ট বলে মনে অনেকে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, মুখের কোনও অংশ যেন বাদ না পড়ে। এ ছাড়াও দেহের যে যে অংশে রোদ লাগে, সেই সব জায়গায় সানস্ক্রিন মাখা জরুরি।
সারা দিনে কত বার ব্যবহার করতে হবে?
বাইরে বেরোনোর আধ ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মাখার নিয়ম জানেন অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘরের মধ্যে থাকলেও দিনের বেলা সানস্ক্রিন মেখে রাখা জরুরি। কারণ, শুধু রোদ নয়, রান্নার সময়ে গরম তাপ লেগেও একই ভাবে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই ‘এসপিএফ’ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তারা।
কোনটি আপনার ত্বকের জন্য ভাল?
বাজারে তো বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। এক একটির কার্যকারিতা এক এক রকম। ‘এসপিএফ’-এর মাত্রাও আলাদা। কিন্তু কার ত্বকে কোনটি ব্যবহার করা উচিত, তা জানতে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, ত্বকের ধরন এবং রোদ লাগার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সানস্ক্রিন নির্বাচন করা উচিত।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনকতটা | সানস্ক্রিন | ব্যবহারে | রোদ | বাঁচবে | ত্বক