কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণকাণ্ডের মূলহোতা ও প্রধান আসামি মো. আশিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন তাকে গ্রেফতারের খবর জানান।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনার পরও কক্সবাজারেই ছিলেন ১৬ মামলার আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এবারের মামলাটা স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করলে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ঘটনার দুদিন পর বেশভুষা পরিবর্তন করে কক্সবাজার থেকে একটি এসি বাসযোগে ঢাকায় আসেন আশিক। এরপর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। প্রযুক্তির ব্যবহার করে তার গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন র্যাব সদস্যরা। পরে বাস তল্লাশি করে তাকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার আশিক ও তার সহযোগীরা ওই নারীর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে লাবণী বিচ এলাকার রাস্তা থেকে তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আশিকুল ইসলাম ওই নারীকে ধর্ষণ ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটক করে রেখে তার স্বামীর কাছে আবারও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমকে হোটেলে আটকে রেখে আশিক হোটেল থেকে বের হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এসআই/