একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় ঢাকা। ভোগান্তিতে পড়ে রাজধানীবাসী। এই ভোগান্তি দূর করতে দরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। এমন পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুই সিটি করপোরেশনকে খাল ও ড্রেনেজের দায়িত্ব হস্তান্তর করে ঢাকা ওয়াসা। সিটি করপোরেশন শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব পাওয়ায় আশার আলো জ্বলে শহরবাসীর মনে।
দায়িত্ব পেয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন খালগুলোকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করে। বেশ হাঁকডাক দিয়েই কাজ শুরু হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অনেকটাই কমে গেছে সেই কাজের গতি। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খাল উদ্ধার করে দ্রুত পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে আগামী বর্ষাতেও ভোগান্তি পিছু ছাড়বে না।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসেই খালগুলো থেকে প্রায় ৬৯ হাজার ২৩৮ টন ভাসমান বর্জ্য এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য আরও প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন স্লাজ অপসারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যেসব খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে সেসব খালের পানিপ্রবাহও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সহায়তায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হবে। সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।
জানা গেছে, খাল উদ্ধার করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি খালের রূপ বদলে দিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সে অনুযায়ী কাজ করছে সংস্থাটি। সাগুফতা খাল, রামচন্দ্রপুর খাল, ইব্রাহিমপুর খাল, গোদাগারি খাল, রূপনগর খালসহ ১৪টি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণে বেশ কিছু কাজ করেছে ডিএনসিসি। চারটি নদীর সাথে এসবের সংযোগ স্থাপন করতে চায় ডিএনসিসি। এছাড়া হাতিরঝিল থেকে কালাচাঁদপুর, বনানী কবরস্থান, কড়াইল বস্তিতে যেন নৌপথে যাওয়া যায় সেই ব্যবস্থার পাশাপাশি কয়েকটি ব্রিজ উঁচু করার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে তারা।
এসআই/