মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময়ে হাতবোমার আঘাতে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন কালকিনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মধ্যেরচর এলাকায় ফকির ও শিকদার বংশের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার শিকদার এলাকা ছাড়েন।
আজ ভোররাতে শরীয়তপুরের নতুনবাজার দিয়ে আক্তার শিকদার তার লোকজন নিয়ে মধ্যেরচর এলাকায় প্রবেশ করছেন, এমন খবর পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন জলিল ফকিরের লোকজন। পরে আক্তার ও জলিলের লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। হাতবোমার আঘাতে আক্তার শিকদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বোমায় গুরুতর আহত হন তার ছেলে মারুফ শিকদার। মারুফকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর সিরাজুল চৌকিদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ভাস্কর সাহা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। আবার সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী নিয়োজিত আছে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আক্তার শিকদার (৪২),তার ছেলে মারুফ শিকদার (২০) এবং খুনেরচর গ্রামের সিরাজুল চৌকিদার (৩৫)। সিরাজুল পেশায় কৃষক ও দিনমজুর ছিলেন।
আই/এ