আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে বিস্ফোরণ হওয়া ডুবোযান টাইটানের ভেতর মিলেছে মানুষের দেহাবশেষ। বুধবার (২৮ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গত ১৮ জুন পাঁচ অভিযাত্রী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের নিচে ডুব দেয় টাইটান। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর ডুবোযানটির সঙ্গে উপরের সহযোগী জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ই এতে বিস্ফোরণ হয়।
টাইটানের ধ্বংসস্তূপের ভেতর দেহাবশেষ পাওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বলেছে, ‘টাইটানের ভেতর পাওয়া (অনুমানকৃত) মানব দেহাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা বিচার বিশ্লেষণ করবেন।’
ওইদিন টাইটানের ভেতর চড়ে টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন ডুবোযানটির পরিচালনাকারী সংস্থা ওশেনগেটের সিইও স্টকটন রাসম, পাইলট পল-হেনরি নারগোলেট, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ এবং ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং।
ধারণা করা হচ্ছে, ডুবোযানটিতে বিস্ফোরণ হওয়ার পরপরই এর ভেতরের যাত্রীদের মৃত্যু হয়।
এর আগে বুধবার (২৮ জুন) দিনের শুরুতে, সমুদ্রের নিচ থেকে তুলে আনা টাইটানের ছিন্নভিন্ন ধ্বংসাবশেষ কানাডায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরমাধ্যমে শেষ হয় উদ্ধার অভিযান।
টাইটানের এসব ধ্বংসাবশেষ এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের একটি কাটারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ডুবেযানটি নিয়ে আরও বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে।
পরবর্তীতে যেন এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য এ ডুযোযানটি নিয়ে গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কোস্টগার্ডের ক্যাপ্টেন জেসন নিউবার।