ভোটের প্রচারণার শেষ সময়ে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
গতকাল শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করলেও তেমন ‘পরিস্থিতি নেই’।
ভোট কেন্দ্র হিসেবে বিভিন্ন স্কুলে সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারির ব্যবস্থা থাকলেও সেসব ‘খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার’ তথ্য পেয়েছেন দাবি করে তা যাচাই করার আহ্বান জানান হাতি প্রতীকের প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
তিনি আশঙ্কা করছেন, হঠকারিতা করার জন্য, ভোট চুরি, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা বা পুলিশি নির্যাতন চালানোর জন্য এই সিসি ক্যামেরাগুলো খুলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তৈমুর বলেন, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থেই এই সিসি ক্যামেরাগুলো রাখা জরুরি।
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএমে। এ কার্যক্রমে নির্বাচনী এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তৈমুর বলেন, তাদের এজেন্টদের উপস্থিতিতেই ইভিএম মেশিন অপারেট করতে হবে। এছাড়াও তিনি এসময় নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর এজন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে তৈমুর আলম বলেন, যেহেতু ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে তাই সবগুলো ভোটের রেজাল্ট তাদের এজেন্টের উপস্থিতিতে গণনা করে প্রিন্ট সাথে সাথে দিয়ে দিতে হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটা দেওয়া কোনো কঠিন বিষয় না।
নির্বাচনে বহিরাগতরা ‘প্রভাব বিস্তার’ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে, হোটেলে, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে, সার্কিট হাউজে, ডাক বাংলায় বহিরাগত লোকজনে ভরে গেছে। তৈমুর আশঙ্কা করছেন বহিরাগত এসব লোক ভোটের দিন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তাই তিনি ভোটের দিন রাস্তাঘাটে চলাফেরায় আইডি কার্ড সাথে রাখা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান।
বিএনপি নেতা তৈমুর দলের অমতে ভোট করতে গিয়ে দলীয় পদ থেকে ‘অব্যাহতি’ পেয়েছেন। আগামী রোববারের (১৬ জানুয়ারি) ভোটে তৈমুরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী টানা দুই বারের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
অনন্যা চৈতী