যাদের কাছে আমাদের অভিযোগ করার কথা তারাই নির্বাচনকে কলুষিত করছে এবং সুষ্ঠু পরিবেশে বাধা সৃষ্টি করছে। আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন এবং যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের দেখেন। দেখবেন তাদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গেলো বছরের হেফাজতের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন দেখা যায় ছাত্রলীগও হেফাজতের মামলার আসামি, হিন্দুও হেফাজতের মামলার আসামি। মানে হিন্দুরাও হেফাজত করে। বললেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মাসদাইরের মজলুম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তৈমূর আলম বলেন, ঘণ্টাখানেক আগে আমাদের চিফ এজেন্ট এটিএম কামালের বাড়ি তল্লাশী করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতির বাড়িতেও তারা গেছে এরকম যে আমাকে সমর্থন করছে তার বাড়িতেই যাচ্ছে পুলিশ। আমরা এতে ভীত না। আমরা মাঠে থাকবো। আমার মৃত্যু হলে নির্বাচনের মাঠেই হবে।
তিনি বলেন, যারা আমার নির্বাচনের নানা কাজের দায়িত্বে আছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সকলকেই হেফাজতের মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ডিসি এসপি সাহেব বলে আমি অভিযোগ করিনি। এখানে সই করা কাগজ আছে আমার কাছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইভী বলেছে নারায়ণগঞ্জে কোন বহিরাগত নেই। তৈমূরের বাড়ি রূপগঞ্জ থেকে লোক আসে। আইভীর সমাবেশে রুপগঞ্জ, আড়াইহাজারের এমপিরা নেতৃত্ব দিয়েছে। ছবিই তো তার সাথে যে বহিরাগতরা আছে তা প্রমান করেছে।
তৈমূর বলেন, আমি বহুবার অভিযোগ করেছি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজকে বলেছেন চারিদিকে ষড়যন্ত্র, আমি একা হয়ে যাচ্ছি। এর মানে তার জনসমর্থন নেই। তাদের একমাত্র ক্ষমতা মামলা। দুই টাকার বলপেন চার আনার কাগজ আর মামলাই তাদের এখন মূল ভরসা। আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা আছে। আমি দেশনেত্রী, ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একসাথে জেল খেটেছি। কামাল কী মাদক ব্যাবসায়ী না সন্ত্রাসী। নির।বাচন কমিশন তাদের কমিটমেন্ট ঠিক আছে না নেই তা কালকে দেখবেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি করতে পদ লাগে না। জনসমর্থন লাগে কর্মী বাহিনী লাগে। আমাকে সারা পৃথিবী চেনে। বাধা দিলে বাধবে লড়াই। এটা অনেক পুরানো স্লোগান। বাঙালি প্রতিরোধ করবে।
