আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

আওয়ামীলীগ ও বিএনপির টেটা সংঘর্ষ, আহত ৮, আটক ২

আওয়ামীলীগ ও বিএনপির টেটা সংঘর্ষ, আহত ৮, আটক ২
নরসিংদীর আলোকবালীর খোদাদিলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে টেটা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আট জন আহত হয়, আটক দুই জন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ৬ টা থেকে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় আওয়ামী সমর্থকদের এলাকা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২নং ওয়ার্ড সভাপতি হাজী হাসান আলী ও একই ইউনিয়নে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতরা হলেন, হালিম মিয়া (৫০), হারুন  মিয়া (২০), মাসুদ রানা (২৪), আল আমিন (৩০), নাহিদ সরকার (২২), সাকিব সরকার (২৪), শফিউল্লাহ (৩৫)ও নাজমুল ইসলাম (২০)। তাঁরা প্রত্যেকে খোদাদিলা গ্রামের বাসিন্দা। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, নাজমুল ইসলাম (২০) ও আল আমিন (৩০)। আটককৃত দুইজন দুই গ্রুপের বলে জানা যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ রয়েছে আলোকবালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি হাসান আলী ও ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী জাকির হোসেনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিনের সঙ্গে। পুলিশ বলছে, জাকির হোসেন ও জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি হাজী হাসান আলী বলেন, "গতকাল বুধবার জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত শান্তি ও উয়ন্নয়ন সমাবেশে আমার কয়েকজন কর্মী অংশ গ্রহণ করায় গতকাল রাত ১০ টার দিকে তাদেরকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল ও তার ভাই আল ইসলাম (৩৫), কর্মী আল আমিন (৩০) ও কুতুব উদ্দিন (৩৬) মারধর করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও আজ ভোরে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী জাকির হোসেন ও আওয়ামীলীগের কর্মী শহীদ মিয়া ও আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আমার তিন কর্মী হালিম, হারুন ও মাসুদকে মিয়াকে টেটাবিদ্ধ করে। আমার লোকজনকে পিটিয়ে তারা এলাকা ছাড়া করা হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমার পাশের গ্রাম নিলক্ষা থেকে আমার ভাগিনা নাজমুল ইসলাম (২০) মেহমান হিসেবে বেড়াতে এসেছিল গতকাল। কিন্তু তারা তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যা খুবই লজ্জাজনক। তবে, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিনকে একাধিকার কল দেয়া হলেও  তিনি কল রিসিভ করেন নি। তবে, একই গ্রুপের সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রুবেল আহমেদ বলেন, " আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি আওয়ামীলীগের লোকজন হঠাৎ ভোরবেলা আমাদের লোকজনের অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও চারজনকে গুলি করে আহত করে জাকির ও হাসান আলী গ্রুপের লোকজন। আমরা চাই প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেন নেন। আমরা বিএনপির লোকজন আওয়ামীলীগের কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেয় নি।" নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, "সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি।পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। আমরা ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় নি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।"    

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আওয়ামীলীগ | ও | বিএনপির | টেটা | সংঘর্ষ | আহত | ৮ | আটক | ২