লাইফস্টাইল

ওজন কমাতে ভাতের বদলে কী খাবেন?

বায়ান্ন প্রতিবেদন

সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চানতাদের জন্য ভাতের মতো উচ্চ-ক্যালোরি খাবার বেছে নেয়ার আগে ভেবে দেখা উচিত। কিন্তু তাই বলে ভাত পুরোপুরি বাদ দিতে হবে, এমন নাএর পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিয়েও ওজন কমানো সম্ভব।

ভাতের স্বাস্থ্যকর বিকল্প:

লাল চাল: সাদা ভাতের চেয়ে লাল চাল বেশি পুষ্টিকর। লাল চালের বাইরের তুষের স্তর ধরে থাকে, যা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিন সরবরাহ করে। লাল চাল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। যারা ডায়াবেটিস বা ওজন বাড়া নিয়ে চিন্তিত, তাদেরকে লাল খাওয়ার পরামর্র্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বার্লি: বার্লি হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম শস্যগুলোর মধ্যে একটি। এটি সাদা ভাতের চেয়ে অনেক বেশি ফাইবার ও প্রোটিন পাওয়া যায় বার্লিতে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম।  

বাজরা: বাজরাও একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ শস্যএটি গ্লুটেনমুক্ত, ফাইবার সমৃদ্ধ, পুষ্টিকর এবং সহজে হজমযোগ্য সুপারফুড হিসেবেও বিবেচিত। এছাড়াও বাজরা শরীরে অনেক পুষ্টি উপাদান জোগান দেয়। এতে বার্লির চেয়েও বেশি ফাইবার আছে

ফুলকপি রাইস: মানুষের ওজন কমানোর জন্য ফুলকপি রাইস একটি চমৎকার বিকল্প। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর, কম ক্যালোরি এবং ভিটামিন বি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। ফুলকপি সহজেই সাদা ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়।  

কুইনোয়া: কুইনোয়া, দক্ষিণ আমেরিকার একটি পুষ্টিকর বীজ। এই বীজ আজকাল ফিটনেস সচেতনদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। চালের তুলনায় বেশি প্রোটিন রয়েছে এই বীজে।

ভাতের মতো উচ্চ-ক্যালোরি খাবার এড়িয়ে যাওয়া কঠিন মনে হলেও, স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলো বেছে নিলে ওজন কমানো এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। তবে, কোনো বড় খাদ্য পরিবর্তনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত

জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ওজন