আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

খরুচে তালিকায় শীর্ষে ফেরিওয়ালার সম্ভার ফরচুন বরিশাল

খরুচে তালিকায় শীর্ষে ফেরিওয়ালার সম্ভার ফরচুন বরিশাল

সাকিব আল হাসান-জাতীয় দল থেকে যেকোনো ফ্রাঞ্চাইজি দল, যার উপস্থিতি নিশ্চিতভাবে প্রভাব পরে প্রতিপক্ষের উপর। জাতীয়-আন্তর্জাতিক সব জায়গায় নিজের আলাদা একটা অবস্থান গড়ে নিয়েছেন তিনি। সেই তারকাকেই দলে ভিড়িয়েছে বিপিএলের এবারের আসরের ষষ্ঠ ও শেষ দল ফরচুন বরিশাল।

কাগজে-কলমে শক্তিশালী দল গড়ে, টুর্নামেন্টের শিরোপার অন্যতম দাবিদার তারা। এই দলে আছেন কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার, যারা সারা বছরই বিশ্বের সব প্রান্তে টি-টোয়েন্টির ফেরি করে বেড়ান।

প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দলে নিয়েছে বরিশাল। ডিরেক্ট সাইনিংয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানের মুজিব-উর-রহমান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও শ্রীলঙ্কার দানুশকা গুনাথিলাকাকে দলে টেনেছে দলটি। তবে অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় তার বদলি হিসেবে যোগ দিয়েছেন টি-টোয়েন্টির আরেক তারকা ডোয়াইন ব্রাভো।

প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে বরিশালের দলে এসেছেন নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানের মত জাতীয় দলের তারকাদের।

এছাড়াও বরিশালে ঠাই পেয়েছেন মেহেদী হাসান রানা, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, জিয়াউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সৈকত আলী, সানজামুল ইসলাম, সালমান হোসেন ইমন ও ইরফান শুক্কুর।

বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে প্লেয়ার্স ড্রাফটে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওবেদ ম্যাককয় ও আলজারি জোসেফ। তবে শ্রীলঙ্কার নিরোশান ডিকওয়েলা ছাড়পত্র না পাওয়ায় খেলতে পারবেন না। ড্রাফটের পর মুনিম শাহরিয়ার ও ইংলিশ চায়নাম্যান জ্যাকব বেনেডিক্ট লিন্টটকে দলে নিয়েছে বরিশাল।

কাগজে কলমে বরিশালের দল দারুণ ভারসাম্য হলেও দলটির ব্যাটিং নিয়ে আছে দুশ্চিন্তা। টি-টোয়েন্টির বড় তারকা গেইল তার সেরা সময় ফেলে এসেছেন। অনেকদিন ধরেই সেই বিস্ফোরক ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না ক্যারিবির এই ব্যাটিং দানবকে। 

দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাট হাতে সাফল্যের দেখা নেই সাকিবের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের সর্বশেষ অর্ধশতক ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। ব্রাভোও ঠিক আগের ফর্মে নেই। দুশ্চিন্তা কিছুটা থাকছেই বরিশালের।

তবে লোকাল তিন তরুণ ব্যাটার নাজমুল হোসেন-মুনিম শাহরিয়ার ও নুরুল হাসানের ওপর আস্থা রাখতে হবে তাদের। কারণ তিনজনই সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ভালো করেছেন।

ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও বরিশালের মূল শক্তি হতে পারে বোলিং। সাকিবের চার ওভারে যেকোন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ। এছাড়া মুজিব ও ব্রাভোর বোলিং বাংলাদেশের কন্ডিশনের জন্য আদর্শ। দারুণ ফর্মে আছেন মেহেদী হাসান ও শফিকুর ইসলাম। অফ স্পিনার হিসেবে নাঈম হাসানের সাথে সৈকতও থাকবেন একাদশে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে।

সাকিব আল হাসান, এ ক্যাটাগরিতে পারিশ্রমিক পাবেন ৭০ লাখ টাকা। ড্রাফট ও সরাসরি চুক্তি মিলিয়ে দেশি মোট ১৩ খেলোয়াড়ের পেছনে ফরচুন বরিশালের খরচ সাড়ে ৩ কোটির কিছুবেশি। ড্রাফটে বিদেশি ক্যাটাগরিতে শ্রীলঙ্কার নিরোশান ডিকভেলা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওবেদ ম্যাকয় ও আলজারি জোসেফকে দলে টেনেছে ফরচুন বরিশাল। বি ক্যাটাগরিতে ডিকভেলার পারিশ্রমিক ৫০ হাজার ডলার। এরপরেই থাকা ওবেদ ম্যাকয়ের পারিশ্রমিক ৭৫ হাজার ডলার এবং সি ক্যাটাগরিতে জোসেফ পাবেন ৪০ হাজার ডলার। টাকার মূল্যমানে এসব বিদেশি খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক দেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের সঙ্গে যোগ করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় প্রায় সোয়া ৫ কোটি টাকা। টাকা খরচের দৌড়ে ফরচুন বরিশাল সবার শীর্ষে।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন খরুচে | তালিকায় | শীর্ষে | ফেরিওয়ালার | সম্ভার | ফরচুন | বরিশাল