সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকান্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত থাকার অভিযোগে জার্মানির ফেডারেল আদালতে মামলা করেছে রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডারস-আরএসএফ। সৌদি আরবে আরো ৩৪ জন সাংবাদিককে বিনাবিচারে বন্দি করে রাখার কথা বলা হয় মামলার এজাহারে।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া সৌদি আরবের নির্বাসিত সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন যুবরাজ সালমান। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন দাবি করার চারদিন পর মামলা করা হলো।
ডয়চে ভেলে আরো জানায়, সোমবার কালসরুহে নগরীতে জার্মানির অন্যতম শীর্ষ ফেডারেল আদালতে মামলাটি করে আরএসএফ৷ বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ।
আরএসএফ জার্মানির পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান মির বলেন, জার্মানিতে মামলার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হলে তা হবে সৌদি আরবে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রথম ফৌজদারি তদন্ত।
মামলার এজাহারে, আসামীর তালিকায় যুবরাজ ছাড়াও সৌদি আরবের আরো চারজন শীর্ষ কর্মকর্তার নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের একজন হলেন যুবরাজের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানি।
২০১৮ সালের দুই অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খুন হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি। তার মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি।
আরএসএফর আন্তর্জাতিক প্রচার বিষয়ক পরিচালক রেবেকা ভিনসেন্ট বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকদের উপর অপরাধের জন্য কোন ধরনের জবাবদিহিতা বা সাজা হচ্ছে না। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা এই মামলার লক্ষ্য।
তিনি আরো বলেন, এটি সফল হলে আমাদের বিশ্বাস, অবশ্যই পরিবর্তন আনবে। এটা সৌদি আরবে এবং বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে থাকা ওই সব ব্যক্তির জন্য স্পষ্ট বার্তা হবে যারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধ করছে। বিশ্ব এটা মেনে নেবে না। এমনকি তারা নিজ দেশে আইনের ঊর্ধ্বে থাকলে তাদের অন্যভাবে হলেও জবাবদিহি করতেই হবে।
এসএন
