আর্কাইভ থেকে এশিয়া

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত আরো নয়জন

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত আরো নয়জন

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধীদের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত নয়জন। আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যম।

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানানোর পরদিনই এ ঘটনা ঘটল।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যম জানায়, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের একটি প্রতিবাদস্থলে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অন্তত দুইজন। আরেক বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ঘটনাস্থলে থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

এদিকে দ্য মোনিওয়া গেজেট জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় শহরটিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে পাঁচজন। মায়েনগিয়ানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রনেতা মোয়ে মিন্ট হেইন।

টেলিফোনে রয়টার্সকে মোয়ে মিন্ট বলেন, আমাদের ওপর গুলি করেছে সেনাবাহিনী। এত একজন কিশোর নিহত হয়েছে। তার মাথায় গুলি লেগেছে।

গণমাধ্যম ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, এসব শহরের পাশাপাশি প্রতিবাদ হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যে, উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যে, মধ্যাঞ্চলের সাগাইং ও দক্ষিণাঞ্চলের দাউই শহরেও।

চিন রাজ্যের এক আন্দোলনকারী সালাই লিয়ান জানান, মিয়ানমারের কেউই একনায়কতন্ত্র চায় না। এটি তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।

এদিকে, মিয়ানমারের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়লেও মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে কোন অগ্রগতি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি সংযম দেখানোর আহ্বান জানালেও সু চি ও অন্যান্য বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে শুধু ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স ও সিঙ্গাপুর।

অভ্যুত্থানের পর থেকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সামরিক শাসনবিরোধী গণতন্ত্রপন্থিরা। বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন প্রতিবাদকারী।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মিয়ানমারে | নিরাপত্তা | বাহিনীর | গুলিতে | নিহত | আরো | নয়জন