ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনের সময় হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেয়ায় তলব করা ১৩ দেশের মিশন প্রধানের সঙ্গে আজ (২৬ জুলাই) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গেলো মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) মিশন প্রধানদের বৈঠকের জন্য তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম গণমাধ্যমে জানান, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ বিকেল ৩টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৪টায় রাজধানীর সার্ভিস একাডেমিতে একটি মিডিয়া ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৩টি মিশন যারা আসবেন তারা হলেনঃ কানাডা মিশন প্রধান মিসেস জেনিস উঙ্গার, ডেনমার্কের অ্যান্ডার্স বি কার্লসেন, ফ্রান্সের গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির ইয়ান ইয়ানোস্কি, ইতালির ডা. ম্যাথিউ ভেনচুরা, নেদারল্যান্ডসের অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের সিজিল ফিনেস ওয়ানেবো, স্পেনের ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, সুইডেনের মারিয়া স্ট্রিডসম্যান, সুইজারল্যান্ডের রিটো রেঙ্গলি, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার্লস হোয়াইটলি।
গেলো ১৯ জুলাই ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে মিশনগুলো সরকারকে হিরো আলমের ওপর হামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা অপরাধীদের জন্য পূর্ণ তদন্ত ও জবাবদিহিতার আহ্বান জানাই। আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গেলো (১৭ জুলাই) রাজধানীর বনানীতে একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি টুইট বার্তার বিষয়ে আলোচনার জন্য গত ২০ জুলাই সরকার জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী শেলডন ইয়েটকে তলব করে।
১৯ জুলাই বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গউইন লুইস এই টুইটটি পোস্ট করেন। লুইস বাংলাদেশ থেকে দূরে থাকায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
টুইট বার্তায় লুইস বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন। সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেকের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করা উচিত।
এএম/