বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদীর পানি কিছুটা কমছে। আবার কোনো নদীর পানি আরও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ৯টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হয়েছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের এক রিপোর্টে জানা গেছে, ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলায় মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার (২ দশমিক ২২ মিটার) ১ দশমিক ১৭ মিটার উপর দিয়ে ও দৌলতখান পয়েন্টে এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার (২ দশমিক ৭৫ মিটার) ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, হিজলা পয়েন্টে ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার (২ দশমিক ৫০ মিটার) ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বিষখালী নদীর পানি বরগুনা পয়েন্টে বিপৎসীমার (১ দশমিক ৯৭ মিটার) ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, একই নদীর অন্য ৩ টি পয়েন্ট যথাক্রমে বেতাগী পয়েন্টে বিপৎসীমার (১.৬৮ মিটার) ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, পাথরঘাটা পয়েন্টে বিপৎসীমার (১ দশমিক ৮৫ মিটার) ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও ঝালকাঠী পয়েন্টে বিপৎসীমার (১ দশমিক ৪০ মিটার) ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার (১ দশমিক ৪৯ মিটার) ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং কঁচা নদীর পানি উমেদপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার (১ দশমিক ৬৫ মিটার) ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার (১ দশমিক ৮০ মিটার) ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং আমতলী পয়েন্টে এই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার (২ দশমিক ০৭) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার (২ দশমিক ১৪ মিটার) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার (১.৯১ মিটার) ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, বুড়িশ্বর নদীর পানি বাকেরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, লোহালিয়া নদীর পানি কাটিপাড়া এলাকায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বাবুগঞ্জে বাবুগঞ্জ (সুগন্ধা) নদীর পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।