আর্কাইভ থেকে খেলাধুলা

খেলাধুলায় বাংলাদেশে ভীত রচনা করে শেখ কামাল : প্রধানমন্ত্রী

খেলাধুলায় বাংলাদেশে ভীত রচনা করে শেখ কামাল : প্রধানমন্ত্রী
সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসতে হবে। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এসব বিকশিত হতে পারে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল বেঁচে থাকলে আমার এতো বড় দায়িত্ব নিতে হতো না। আজ খেলাধুলায় বাংলাদেশ যে এগিয়ে গিয়েছে তার ভীত রচনা করেছিলো কামাল। শেখ হাসিনা বলেন,  ‘একবার আবাহনী ক্লাবের জন্য অ্যাডিডাস জুতা কিনতে চেয়েছিল শেখ কামাল। আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি কাগজে লিখে দাও। কারণ, আমি তো অত কিছু চিনি না। পরে কাগজে লিখে দিয়েছিল। আজও কাগজে শেখ কামালের অ্যাডিডাস লেখা আমার চোখের সামনে ভাসে।’ শেখ কামাল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও অবদান রাখার আগেই তাকে ঝরে যেতে হয়েছে পৃথিবী থেকে। রাষ্ট্র প্রধানের পুত্র হয়েও শেখ কামাল খুবই সাধারণ চলাচলে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেন, ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে জন্য আপনারা এই ফাউন্ডেশনে (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) অনুদান দেবেন। কারণ, অনেক খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের চিকিৎসার সুযোগ থাকে না, অনেকে আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না তখনও চেষ্টা করছি এবং এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্বর্ণ জয় করে নিয়ে আসে। অনেক প্রতিবন্ধী বেশি সাফল্য দেখায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আসে এটা কম কথা না। সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করি। যাতে তারা যেতে পারে, খেলাধুলা অংশগ্রহণ করতে পারে। খেলাধুলা একটা অনেক বয়স পর্যন্ত খেলতে পারে না। তাদের পরবর্তী জীবনটা কেমন হবে? সেজন্য আমি বলব, আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, অনেক কিছু করে দিয়েছি, প্রাইভেট সেক্টর অনেক শক্তিশালী হয়েছে, সেখানে যদি নিজস্ব ক্রীড়া সংগঠন বা যারা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংযুক্ত তাদের যদি চাকরি ব্যবস্থা করে দেয়া হয়, তারাও তো ওই প্রতিষ্ঠানেরই সুনাম বয়ে আনতে পারবে।’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে, খেলাধুলা এত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে, তাহলে এটা তো বাংলাদেশেরই সুনাম বাড়বে। এদেশের ছেলেমেয়েরা সীমিত সুযোগের মধ্য দিয়েও যথেষ্ট সুনাম বয়ে আনছে। সুনাম বৃদ্ধির জন্যও আমাদের দরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, তেমনি বেসরকারি খাতে যারা রয়েছেন তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগুলো বিকশিত করতে পারে না। সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন। তারা বিশ্ব দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন খেলাধুলায় | বাংলাদেশে | ভীত | রচনা | করে | শেখ | কামাল | | প্রধানমন্ত্রী