আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তামিমে ম্লান সিমন্স, ঢাকায় বিধ্বস্ত সিলেট

তামিমে ম্লান সিমন্স, ঢাকায় বিধ্বস্ত সিলেট

আগের ইনিংসে এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করে পথটি খুলে দিয়েছিলেন ল্যান্ডন সিমন্স। পরের ইনিংসে তার দেখানো পথে আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে সিলেটকে বিধ্বস্ত করলেন তামিম ইকবাল। সিমন্স আউট হলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তামিম। 

৯ উইকেটের এ জয়ে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেল মাহমুদউল্লাহ্‌ রিয়াদের দল। ৬৪ বলে ১১১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন তামিম ইকবাল। দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পথে তামিম ১৭টি চার ও ৪টি ছয়ের মার মারেন।

ক্যারিবিয়ান ব্যাটার সিমন্সের ৬৫ বলে ১১৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৭৫ রান তোলা সিলেট নিজেদের জন্য নিরাপদ মনে করলেও তামিম-শেহজাদ জুটির সামনে তা উড়ে যায়। বিশেষ করে বললে তামিম-ঝড়ে সব হিসেব ওলটপালট হয়ে যায়। 

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থ ও বিপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তামিমের। এর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ২০১৯ সালের বিপিএলে প্রথম শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি। সেবার ১৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন টাইগার ব্যাটার।

১০ উইকেটেই জয় তুলে নিতে পারতো ঢাকা। যদি না জয় থেকে ৩ রান দূরে থাকতে আফগান উইকেট কিপার কাম ব্যাটার শেহজাদ আউট না হতেন। শেহজাদ ৩৯ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। যেখানে ৭টি চার ও একটি ছয়ের মার ছিল। বিদায়ের আগে অবশ্য তামিম-শেহজাদ মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ১৭৩ রানের জুটি গড়েন। বিপিএলের ইতিহাসে যা কিনা তৃতীয় সর্বোচ্চ।

তামিমের সেঞ্চুরিটি ছিল বিপিএলের ইতিহাসে ২৩তম সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি ক্রিস গেইলের। আর ২৩টির মধ্যে ১২টি সেঞ্চুরিই এসেছে ক্যারিবিয়দের ব্যাট থেকে। চার বাংলাদেশি মিলে করেছেন পাঁচটি সেঞ্চুরি। যেখানে রয়েছেন তামিম-শান্ত-আশরাফুলরা। আর ২৩টির মধ্যে ১৮টি সেঞ্চুরিই করেছেন ওপেনাররা। 

এ ম্যাচের আগে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে অবস্থান ছিল ঢাকার। এ জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে দুই জয় পাওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস আছে সবার উপরে।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তামিমে | ম্লান | সিমন্স | ঢাকায় | বিধ্বস্ত | সিলেট