দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীনা নাগরিক ও এমডিসহ ৬৭ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া উপসর্গ রয়েছে আরও অর্ধশত কর্মকর্তার। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, কয়লা খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির এক্সএমসির ৩৬ চীনা কর্মকর্তা ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এমডিসহ ৩১ বাংলাদেশি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অপরদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে অর্ধশত কর্মকর্তা বাসায় রয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খনিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলছেন তাপ বিদ্যুতের অভ্যন্তরে এখনো দুই লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। এ কয়লা শেষ হওয়ার আগেই উত্তোলন শুরু হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী বলেন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানীর একমাত্র উৎস বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। আগামী দুই মাসের মধ্যে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু না হলে জ্বালানী সংকট দেখা দিতে পারে।
এসআই/