আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ ইসলামের খেদমতে কাজ করে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ ইসলামের খেদমতে কাজ করে: প্রধানমন্ত্রী
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন প্রকল্প ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মসজিদ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর বিজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় ইসলামের খেদমত ও উন্নয়নে কাজ করে। ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেরোরিস্টদের কোনো ধর্ম নাই, তাদের কোনো দেশ বা বাউন্ডারি নাই। টেরোরিজমই হচ্ছে তাদের ধর্ম। আমি নিজে এর ভুক্তভোগী। আমি এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করার পর শত শত হুমকির চিঠি পেয়েছিলাম। সেই চিঠিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসীরা তার পক্ষ হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান এমনকি বৌদ্ধও ছিল। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে এটা কি ধরনের! সেইদিন থেকেই বুঝলাম এদের আসলে কোনো ধর্ম নাই।’ সন্তান যাতে বিপথে না যায় সেজন্য তাদের প্রতি খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান কুসংস্কার, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ নির্মুলে সবার সহযোগিতা চান। কওমি মাদরাসার উন্নয়নের সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদরাসা দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। স্বীকৃত দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সরকারপ্রধান বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। মুষ্টিমেয় কিছু লোক এই ধর্মকে ব্যবহার করছে, কলুষিত করছে। তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস পেয়েছি। যা আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছে, শক্তি যুগিয়েছে, সাহস যুগিয়েছে। বারবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। কিন্তু আমি কোনোদিন ভয় পাইনি। কেন যেন মনে হতো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করার জন্য। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে কিছু সময় দেন, কিছু মানুষকে কিছু কাজ দেন, এই কাজটা আমি যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ করব, রাব্বুল আলামিন আমাকে রক্ষা করবেন। এ বিশ্বাস নিয়ে আমার পথ চলা। কারবালার ঘটনার আরেকটি পুনরাবৃত্তি ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে ঘটে গিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা, আমার ভাইয়ের স্ত্রীদের ছাড়েনি। চার বছরের শিশুকেও ছাড়েনি। সবাইকে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই রাতে আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে ছিলাম। স্বজনহারা আর্তনাদ আর ঘর বাড়ি ছাড়া ছয়টি বছর আমাদের কাটাতে হয়েছে। '৮১ সালে আমরা দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে আমি সেই চেনা মুখগুলো পাইনি। যারা আমাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়েছিল। আমি পেয়েছিলাম বনানীতে সারি সারি কবর। পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষ। কাজেই সে মানুষগুলো আমার পরিবার, তারাই আমার আপনজন। তাদের মাঝেই ফিরে পেয়েছি আমার বাবার ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ ।’  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আওয়ামী | লীগ | ইসলামের | খেদমতে | কাজ | করে | প্রধানমন্ত্রী