রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাসের ভিতরেই ট্রাকচাপায় মাহবুব হাবিব হিমেল নামের শিক্ষার্থীর মরদেহ চারুকলা অনুষদে থেকে নাটারো নেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় তার মরদেহ রাবির চারুকলা অনুসদে নেয়া হয়। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে নেয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর হিমেলের মরদেহ জানাজার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতরে হবিবুর রহমান হলের সামনে একটি বেপরোয়া ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হিমেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পাঁচটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নির্মাণাধীন ভবনেও ভাঙচুর চালায়। এ সময় প্রক্টর লিয়াকত আলী ঘটনাস্থলে আসলে তাকে ধাওয়া করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এ সময় দুই ঘণ্টা ওই অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওইদিন রাতে শিক্ষার্থীরা ৬-দফা দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যান। দাবিগুলো হলো- প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ নিহতের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া, নিহত শিক্ষার্থীর বোনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রদান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পাল্টানো এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হিমেল নিহতের ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিচার করা।
এদিকে, বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে প্যারিস রোডে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রক্টরিয়াল বডিকে প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
তাসনিয়া রহমান