অনলাইনভিত্তিক অবৈধ এমএলএম ব্যবসা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে গ্রাহকদের এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে এমএলএম লেনদেন বন্ধ এবং যোগসাজশে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চক্রকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (১৯ আগস্ট) মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমএলএম লেনদেন অবৈধভাবে অনলাইনে দীর্ঘদিন যাবত পরিচালিত হলেও এ ব্যাপারে সরকারিভাবে বা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এই সুযোগে দুবাইভিত্তিক এমএলএম এমটিএফই এক বিলিয়ন ডলার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এছাড়া অনলাইনে আরও বহু স্বাস্থ্যসেবা বা দ্বিগুণ মুনাফার নামে অসংখ্য এমএলএম কোম্পানি জড়িত আছে। তাই গ্রাহকদের প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে এমএলএম লেনদেন বন্ধ এবং যোগসাজশে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চক্রকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনাতে হবে।
বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত লক্ষ্য করেছি যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি অনলাইনভিত্তিক এমএলএম পরিচালিত হয়ে আসছে। আমরা অনেক গ্রাহককে ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম এবং বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকও অবগত ছিল বলে আমরা মনে করি।
গেলো ১১ আগস্ট মো. সুমন নামে এক সহকর্মী আমাকে জানায়, সে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিল দুবাইভিত্তিক এমটইএফই নামে প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু তার জরুরি প্রয়োজনে এখন টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। ওদের বাংলাদেশে কোনো অফিস নেই, এজেন্টের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছিল। এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায় সাইড ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে, তাই আপাতত ৪-৫ দিন লেনদেন করা যাবে না। অথচ আমরা গতকাল গণমাধ্যমে লক্ষ্য করলাম, তাদের সাইট বন্ধ এবং তারা এক বিলিয়ন ডলার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই অনৈতিক লেনদেন পরিচালিত হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহককে সচেতন বা সতর্ক করা হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। উল্টো কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন বৈধ বলে মন্তব্য করেছে। অনলাইনে এরকম এখনো অসংখ্য এমএলএম প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেকে চিকিৎসার নামে গ্রাহকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
এ অবস্থায় মুঠোফোন গ্রাহক অ্যসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই সকল অনৈতিক লেনদেন বন্ধ এবং প্রতারক চক্রদের গ্রেপ্তার করে অর্থ আদায় করে প্রতারিত গ্রাহকদের মাঝে ফেরত প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।