সারাদেশে ৫০ হাজার সাংবাদিক আছে। এসব সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। মফস্বল সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ তৈরির জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। ডাটাবেইজ তৈরির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে বার কাউন্সিলরের মত আমরা প্রকৃত সাংবাদিকদের সনদ দেবো। এই সনদধারীরাই কেবল নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধরা হয়েছে স্নাতক ডিগ্রী পাশ। বললেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
শনিবার (১৯ আগষ্ট) জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পঞ্চগড় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত "প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি ও সাংবাদিকতার নীতিমালা" শীর্ষক এক সেমিনারে ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এই শর্ত কিছুটা শিথিল থাকবে। আগে সাংবাদিকদের নামে প্রেস কাউন্সিলে মামলা দেয়া হলে সেখানে রায়ে শুধুমাত্র তিরস্কারের বিধান ছিল। এখন সেটি সংশোধিত হয়ে ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেন। এই আইনটি নতুন করে চুড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে। কমিটির সদস্য সাংবাদিকরা যারা সুপারিশ করেছিলেন এখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই আইনের বিরোধিতা করছেন।
এসময় সেমিনারে জেলার কয়েকজন গণমাধ্যেমকর্মী প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪, আচরণবিধি এবং সাংবাদিকতার নীতিমালা বিষয়ে কতিপয় সুপারিশ পেশ করেন।
দিনব্যাপী সেমিনারে জেলার ৫৪ জন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইনের সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।