সব ধরনের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি হয়েছে। আজ এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সব গণমাধ্যমে তারেকের বক্তব্য প্রচার করা যাবে কি না আজকের আদেশে তা জানা যাবে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। আদেশের জন্য আজকে মামলাটি এ আদালতের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রুলের নোটিশ তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ বোর্ডে এবং একটি জাতীয় দৈনিকে প্রচার করা হয়।
বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, গুলশানের যে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেটি তারেক রহমানের সর্বশেষ ঠিকানা না। তিনি এখন লন্ডনে, তাই তার ওই ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হবে। আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী আবেদনকারীরা নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আগামীকাল এই রুল শুনানির কার্যতালিকা থাকবে।
এর আগে গতকাল সকালে শুনানিকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, আইনজীবী সানজিদা খানম ও রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা। অপরদিকে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
দেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ রুল জারিসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।