ট্রানজিটে গিয়েও বাংলাদেশিরা সৌদি আরবে ওমরাহ করতে পারবেন। শুধুমাত্র সৌদি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন। এছাড়া ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ১ মাস থেকে বাড়িয়ে ৩ মাস করা হয়েছে। এ ভিসায় গিয়েও দেশটিতে ঘুরতে পারবেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাউজান আল রাবিয়াহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
ফরিদুল হক খান বলেন, যারা হজ, ওমরাহ কিংবা বেড়াতে যাবেন, তারা যদি আরও লোক সঙ্গে নিয়েও যান, ধরেন অন্য জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছেন, সৌদি আরবে ট্রানজিট হয়েছে, ওই ট্রানজিটে চারদিনের থাকার ব্যবস্থা করতে তারা রাজি হয়েছেন। তারা সেখানে ওমরাহ করে অন্য দেশে চলে যেতে পারবেন।
ট্রানজিটে গিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে অনুমতি কী আগেই নিয়ে নিতে হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতি আগেই নিতে হবে।
অন অ্যারাইভাল ভিসা নাকি ভিসা নিয়ে যেতে হবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভিসা।
তিনি বলেন, সৌদি আরব যাওয়া-আসা, হজের বিষয়ে খরচ কমানো, সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে আমরা যা বলেছি, তারা মেনে নিয়েছেন। অতীতে কখনো এমন আলোচনা হয়নি। এখানে নেতিবাচক কোনো বিষয় আমরা পাইনি। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি, আজ আমাদের মধ্যে এতো সুন্দর আলোচনা হবে। এটা যদি হয়ে থাকে, তাহলে বাকিগুলো কী হতে পারে, নিজেরাই অনুমান করেন।
হজের খরচ কমানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা বলেছেন এই জায়গায় যদি খরচ কমানো সম্ভব হয়, আমরা কমাব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী এবং দেশটির সরকারের তিনজন উপমন্ত্রী ও সম্মানিত বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হজ এবং ওমরাহ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন। আমরা তাদের আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি জানান, সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা তিন মাসের জন্য পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরবে নিয়ে যেতে পারবেন। সৌদি আরবে কর্মরত আমাদের যারা রয়েছেন, তারা এখন থেকে সর্বোচ্চ তিন মাসের জন্য তাদের পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে সেদেশে নিয়ে যেতে পারবেন। পরিবারের মানুষজন সৌদি আরবে গিয়ে অবস্থান এবং ঘোরাঘুরি করতে পারবেন।