খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে উনিশ শতক। এই বিস্তীর্ণ সময়কালের অন্তত দু’হাজার শিল্প সামগ্রী খাস ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়। গেলো কয়েক বছর ধরে সেই দুষ্প্রাপ্য শিল্প সামগ্রীরই দেখা মিলছিল অনলাইনে বিভিন্ন বেচাকেনার সাইটে। অবশেষে তা চিহ্নিত করে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে, জানালেন জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৭ আগস্ট) বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এ জাদুঘরের চেয়ারম্যান তথা ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই দু’হাজার শিল্প সামগ্রীর মধ্যে বেশ কয়েকটি সামগ্রী ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তার কথায়, ‘‘কিছু মানুষকে আমরা পেয়েছি যারা সত্যিই সৎ। তারা সব জেনে শিল্প সামগ্রীগুলি ফেরত দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে বেশ কিছু এমন ক্রেতাও আছেন, যাদের কাছ থেকে কিছু জিনিস ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’’
জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে সোনা ও মূল্যবান পাথরের বহু গয়না। জাদুঘরের একটি স্টোররুমে রাখা গোটা একটি শিল্পকর্মের টুকরো টুকরো অংশই ওই চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকায় মূলত রয়েছে।
গোটা ঘটনায় চূড়ান্ত বিব্রত ব্রিটিশ মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে এক ডাচ শিল্প সংগ্রাহক সবার প্রথমে বিষয়টি নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কর্তৃপক্ষ তখন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু অসবোর্ন স্বীকার করে নিয়েছেন যে, সেই তদন্ত আসলে অসম্পূর্ণ ছিল। শুক্রবারই (২৫ আগস্ট) আচমকা পদত্যাগ করেন জাদুঘরের ডিরেক্টর হার্টউইগ ফিশার। নাম প্রকাশ করা হয়নি, এমন এক কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়েছে।
অসবোর্ন অবশ্য জানাচ্ছেন, বিষয়টিকে তারা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তার কথায়, ‘‘হ্যা মেনে নিচ্ছি যে এই জাদুঘর কিছু ভুল করেছে। তার জন্য আমরা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। আমরা সব কিছুই ঠিক করার চেষ্টা করছি। আশা করি শতাব্দী প্রাচীন এই ব্রিটিশ মিউজিয়াম আবার এমন এক উচ্চতায় পৌঁছবে যাকে নিয়ে এই দেশ তো বটেই, গোটা বিশ্ব গর্ব করতে পারে।’’