২০২৭ সালে মহাকাশে চালু হতে যাচ্ছে বিলাসবহুল একটি হোটেল। ভয়েজার স্টেশন নামে হোটেলটিতে থাকবে আধুনিক সুবিধার সবকিছুই। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে হোটেলের মালিক মার্কিন প্রতিষ্ঠান গেটওয়ে ফাউন্ডেশন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, মহাকাশে বেড়াতে যাওয়া দিবাস্বপ্ন থাকছে না আর। করোনা মহামারির কালো ছায়া পৃথিবী থেকে সরে যাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে চাইলেই ছুটি কাটাতে যেতে পারেন মহাশূন্যে। শূন্যে ভাসমান অবকাশ যাপনের ইচ্ছেটা বাস্তব করছে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান গেটওয়ে ফাউন্ডেশন। এটি তৈরি করে দেবে অরবিটাল অ্যাসেম্বলি ফাউন্ডেশন।
শুরুতে মহাকাশে হোটেলের স্বপ্নদ্রষ্টা জার্মান বিজ্ঞানী ভের্নার ভন ব্রনের নামেই এর নামকরণ করা হয়েছিল। তবে ভন ব্রনের নাজি সম্পৃক্ততার কারণে বিতর্কের আশঙ্কায় নাম দেওয়া হয় ভয়েজার স্টেশন।
সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে ভয়েজার স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। শেষ হবে ২০২৭ সালে। মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালকের ১৯৬৮ সালের সিনেমা ২০০১-স্পেস অডিসিতে দেখানো মহাকাশ স্টেশনের আদলে হোটেলের নকশা করা হয়েছে।
মহাশূন্যে নাগরদোলার মতো অনবরত ঘুরবে হোটেলের ২৪টি মডিউল বা কক্ষ। এই ঘূর্ণয়নের ফলে কৃত্রিম অভিকর্ষ বল তৈরি হবে। এ কারণে পৃথিবীর মতোই হোটেলে ঘুরে বেড়াতে পারবে পর্যটকরা। সেখানে মোট ১০০ অতিথি থাকতে পারবে। মডিউলগুলোতে থাকবে রেস্তোরাঁ, জিম, বার, কনসার্টের স্থান, সিনেমা হলসহ সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা। মহাকাশে প্রমোদ ভ্রমণে অতিথিদের জন প্রতি গুণতে হবে আড়াই লাখ ডলার।
পৃথিবীর মানুষের কাছে মহাকাশে পর্যটন দিনদিনই জনপ্রিয় আর আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। গেটওয়ে ফাউন্ডেশনের মতো মহাকাশে হোটেল তৈরির চেষ্টা করছে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তালিকায় উপরের দিকেই আছে ভার্জিন গ্যালাকটিক, স্পেস এক্স এর মত প্রতিষ্ঠান।
এসএন
