আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মাছের ডিমের ফেসিয়াল!

মাছের ডিমের ফেসিয়াল!

মাছের ডিমে রূপচর্চা! নিশ্চয়ই একথা জেনে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে অনেকেরেই। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় এক ফেসিয়াল এটি। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরাই কেবল এই ফেসিয়াল করতে পারেন। এই ফেসিয়ালে করাতে প্রতিবারই গুনতে হবে ১০০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজারেরও বেশি।

অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে এই ফেসিয়ালের এতো দাম কেন? কারণ এই ফেসিয়াল করা হয় বিশেষ এক মাছের ডিম দিয়ে। ক্যাভিয়ারের ডিএনএ। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো এই ক্যাভিয়ার।

বাংলাদেশি টাকায় ৩০ গ্রাম ক্যাভিয়ারের দাম হতে পারে ১০-২০ হাজার টাকা। তার মধ্যে কালো ক্যাভিয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি। কার্দিশিয়ান বোনেরা থেকে শুরু করে হলিউডের নামকরা অভিনেত্রীরা নিয়মিত এই ফেসিয়াল করেন। জানা যায়, অস্কারের অনুষ্ঠানের আগে নামকরা অভিনেত্রীরা এই বিশেষ ফেসিয়াল নিতে ছুটে যান পার্লারে।

কিম কারদাশিয়ানসহ তার বোন ক্লোয়ি ও কোর্টনি কারদাশিয়ানও মাসে দুই থেকে তিন বার এই ফেসিয়াল করেন। চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে এই ফেসিয়ালের জুড়ি মেলা ভার। কারণ ক্যাভিয়ারে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

তাই ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ফেসিয়ালটি। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন মুহূর্তেই বেড়ে যায় এই ফেসিয়াল করলে। তাই ত্বক হয়ে ওঠে আরও কোমল ও দাগহীন ।

কিভাবে করে এই মাছের ফেসিয়ালের:

বিউটিশিয়ানরা প্রথমে নানাভাবে ত্বক পরিষ্কার করার পর ৪-৫ রকম মাস্ক ব্যবহার করেন। কোলাজেন মাস্কও থাকে তার মধ্যে। এক ধরনের এনজাইম পিলও ব্যবহার করা হয়। এক ঘণ্টা ধরে হায়ড্রা ফেসিয়াল করানো হয়।

তারপর থাকে এলইডি লাইট দিয়ে ট্রিটমেন্ট। বিলাসবহুল ফরাসি ব্র্যান্ডের নানা রকম ক্রিম-ময়েশ্চারাইজার ও বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করা হয় এসময়। সঙ্গে থাকে চার রকমের ম্যাসাজ। মুখের আকৃতি সুন্দর রাখার জন্য করা হয়  জাপানের ৫৪০ বছর পুরনো কোবিডো পদ্ধতির ম্যাসাজ।

এই ফেসিয়াল শেষ হতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে এই ফেসিয়ালটি সব জায়গায় করা হয় না। এটি করা হয় কেবল নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, লাস ভেগাস, লাগুনা বিচসহ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গোনা কয়েকটি শহরে।

সুত্র: ফোর্বস।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মাছের | ডিমের | ফেসিয়াল