এশিয়া কাপের মঞ্চে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে পাকিস্তানি পেসারদের আগ্রাসী বোলিংয়ে ভারতের ইনিংস অল্পতেই গুঁটিয়ে যাওয়ার চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছিল। কিন্তু মিডল অর্ডারে ঈশান কিষাণ ও হার্দিক পান্ডিয়ার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তা কাটিয়ে ওঠে ভারত। ফলে পাকিস্তানের বোলিং তোপে অলআউটের আগেও চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে রোহিত শর্মার দল।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ব্যাট করতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদি,ও হারিস রউফের তোপে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে ভারতের ইনিংস। তবে ইশান কিষান ৮২ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত লজ্জা এড়িয়ে ২৬৬ রানে থামে ভারত।
এদিন ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিবমন গিল। তবে ইনিংসের ৪.২ ওভারে বিনা উইকেটে ১৫ রান সংগ্রহ করার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বৃষ্টি থামার পরই পাকিস্তানি পেসাররা সুবিধা আদায় করে নেন। ফলে পঞ্চম ওভারেই প্রথম সাফল্য পায় পাকিস্তান।
রোহিতকে দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে বোল্ড করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার ডেলিভারি ভারতের অধিনায়কের ব্যাট-প্যাডের মাঝ দিয়ে স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দেয়। ফলে ২২ বলের ইনিংসে ১১ রান আসে রোহিতের ব্যাট থেকে। সব মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে নিজের ষষ্ঠ ম্যাচে রোহিতকে তৃতীয়বার নিজের শিকার বানালেন পাকিস্তানি এই পেসার। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই আফ্রিদির ইয়র্কারে তিনি এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন। তারও আগে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালে আরেক বাঁ-হাতি পেসার মোহাম্মদ আমিরের বলে একইভাবে আউট হয়েছিলেন রোহিত।
এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। দলীয় ২৯ রানের মাথায় গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো তাকেও ফেরান শাহিন আফ্রিদি। বাঁ-হাতি এই পেসারের অফসাইডের বাইরের বল মারতে গিয়ে প্লে-ডাউন হয়ে স্টাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। ফলে ৭ বলের ইনিংসে ১ বাউন্ডারিতে ৪ রানেই থামে তার ইনিংস।
এরপর ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার। আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গিল। তবে দলীয় ৪৮ রানে ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন আইয়ার। তাকে সাজঘরে ফেরান হারিস রউফ। ইনিংসের ১১ ওভার ২ বলে বৃষ্টি নামলে আবারও বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টির পর খেলার শুরুর পরেই উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ৬৬ রানে ৩২ বলে ১০ রান করা গিলকে বোল্ড করেন রউফ।
এরপর ক্রিজে এসে ইশানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন হার্দিক। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে ফিফটি করেন ইশান। হার্দিকও তুলে নেন ফিফটি। তবে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হন ইশান। দলীয় ২০৪ রানে ৮১ বলে ৮২ রান করে আউট হন তিনি। ইশানের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে হাল ধরার চেষ্টা করেন রবীন্দ্র জাদেজা।
এরপর দলীয় ২৩৯ থেকে ২৪২ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় ভারত। ইশানের মতো সেঞ্চুরি মিস করেন হার্দিক। ৯০ বলে ৮৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটার। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারালে ২৬৬ রানে অলআউট হয় ভারত।
বোলিংয়ে পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন আফ্রিদি সর্বোচ্চ ৪টি উইকেটে শিকার করেন। এছাড়া হারিস রউফ ও নাসিম শাহ নেন ৩টি করে উইকেট।
এএম/
