আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা নিয়ে যা বললেন নিপুণ

সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা নিয়ে যা বললেন নিপুণ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে শুধু উত্তাল এফডিসি প্রাঙ্গণ নয়। এটি নিয়ে আগ্রহের জায়গা তৈরি হয়েছে সারাদেশে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

কে বসবেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে? এর সিদ্ধান্ত আসবে আদালত থেকেই। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে এ নিয়ে শুনানি হবে। এর আগ পর্যন্ত জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ওই দিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা ও নেমপ্রেল্ট নিয়ে কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসায় বির্তক দেখা দিয়েছে।

শিল্পী সমিতির টেবিলে নিপুণ তার নেমপ্লেটও লাগিয়েছেন। সেখানে লেখা রয়েছে- নিপুণ আক্তার (সাধারণ সম্পাদক), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এটি কি আদালত অবমাননা কিনা ।

তবে এসব বিতর্কের জবাব দিয়েছেন নিপুণ। তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের প্রতি তার যথাযথ সম্মান রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এসব মিথ্যে গুজব, যা আমার নামে ছড়ানো হচ্ছে। যেদিন আমি শপথ নিই সেদিনই আমার নামে নেমপ্লেট তৈরি করা হয়েছিল। আর আমি কোনো দায়িত্ব পালন করিনি। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে সারাদিন ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছি৷ এর চেয়ে বেশি কিছু না।

চিত্রনায়িকা নিপুণ আরও বলেন, আমি বরাবরই আইনের প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল। তাই আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত যে রায় দেবেন, তার জন্যই অপেক্ষায় আাছি৷ আদালত অবমাননা করার মতো ক্ষমতা কারও নেই।  আমিও তাদের মধ্যে একজন।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের বিভাগের চেম্বার আদালত। পদের উপর স্থিতাবস্থা দেন আদালত।

রায়ে বলা হয়, এ সময়ে জায়েদ খান ও নিপুণ কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের ফুল কোর্টে এর শুনানি হবে।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।

এরআগে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চেম্বার আদালতে এই আবেদন করেছিলেন নিপুণ। পরবর্তীতে তা শুনানির জন্য আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিন ঠিক করা হয়।

এর আগে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত। এ আদেশের ফলে নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত যায়।

উল্লেখ্য, গেল ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুণ অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন জায়েদ। টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন তিনি। এসব অভিযোগ নিয়ে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন নিপুণ। লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছেও।

এরপরই আপিল বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ জন্য গেলো শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। বৈঠকে নিপুণ অংশ নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন জায়েদ। তার অনুপস্থিতিতেই সোহানুর রহমান সোহান শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে অপর প্রার্থী নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সাধারণ | সম্পাদকের | চেয়ারে | বসা | নিয়ে | নিপুণ