আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিধি-নিষেধ তুলে নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে

বিধি-নিষেধ তুলে নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে

করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০৫ জনে। এতে আক্রান্ত হয়ে ৪০ কোটি ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮৮ জন। এরইমধ্যে কেটে গেছে দুই বছর। এখনও জানা নেই, কবে শেষ হবে মহামারি।

এ অবস্থায় আমেরিকা-ইউরোপের দেশগুলি ঘোষণা করেছে, মহামারিকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে। এই যুক্তিতে করোনা-বিধি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।

কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে এক মত না। সংস্থাটি বলছে, বিধি-নিষেধ তুলে নিয়ে পরিস্থিতি আর ভয়াবহ হতে পারে। আরও ভয়ানক ভেরিয়েন্ট তৈরি হতে পারে ভবিষ্যতে। ফলে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু তা-ই নয়, বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্যকর্তাদের জন্য আরও কঠিন সময় আসতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, এখনও অনেক রাস্তা হাঁটা বাকি। একটি আমেরিকান সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মহামারি করোনা নিয়ে চলতে থাকা রাজনীতি নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন সৌম্যা। রাজনীতি যে হয়েছে, হচ্ছে ও হবে, তা উড়িয়ে দিতে পারবে না কেউই।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মন রাখতে, ভোট-ব্যাঙ্ক বাঁচাতে করোনা-বিধি লঘু করে দিচ্ছে বহু দেশ। কিন্তু এখনই করোনা শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞেরা। কবে শেষ হবে তা-ও জানা নেই।

সৌম্যা বলেন, আমার মনে হয় না, কেউ বলত পারবেন কবে অতিমারি শেষ হবে। দয়া করে বলবেন না, অতিমারি শেষ হয়ে গিয়েছে। কারণ কিছু লোকজন তেমন কাজই করছেন। সমস্ত করোনা-বিধি তুলে দেওয়া বোকামি হবে। অন্তত ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত এই সব বিধি মেনে চলাই উচিত।

আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ এক-এক করে সমস্ত করোনা-বিধি তুলে দিচ্ছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে মাস্ক পরার নিয়মও উঠে যাচ্ছে। ব্রিটেনও জানিয়েছে, দুসপ্তাহের মধ্যে পুরনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে তারাও।

এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞেরা বারবার বলছেন, যত বেশি সংক্রমণ ঘটবে, তত বেশি নতুন ভেরিয়েন্ট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা।

এদিকে, আমেরিকা যখন চতুর্থ ডোজ় দেয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে, আফ্রিকা এখনও টিকার প্রশ্নে অন্ধকারে। ৮৫ শতাংশ আফ্রিকান এখনও প্রথম ডোজ় পাননি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিধিনিষেধ | তুলে | নিলে | ভয়াবহ | পরিস্থিতি | হতে | পারে